চাঁদে যাওয়ার সঙ্গী খুঁজছেন জাপানি বিলিয়নিয়ার ইয়ুসাকু

0
565

বাংলা খবর ডেস্ক:
ইলন মাস্কের স্পেসএক্স কোম্পানির ফ্লাইটে চাঁদে যাবেন জাপানের বিলিয়নিয়ার ইয়ুসাকু মায়েজাওয়া। কিন্তু তিনি একা যাবেন না। তার সঙ্গে আরো আটজন সঙ্গী নিয়ে যাবেন। এ জন্য জনগণের ভিতর থেকে তিনি আটজনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এমন আহ্বান জানিয়ে তিনি টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। তাতে লিখেছেন, আমি চাই আমার সঙ্গে সব রকম ব্যাকগ্রাউন্ডের মানুষ যোগ দিক। এ জন্য আবেদন করতে হবে। সেই আবেদন ফর্মের একটি লিঙ্কও তিনি শেয়ার করেছেন।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
ইয়ুসাকু মায়েজাওয়া বলেছেন, তিনি সঙ্গে করে যাদেরকে নিয়ে যাবেন তাদের সবার পুরো যাত্রার খরচ বহন করবেন তিনি। ফলে তার সঙ্গে যারা উড়বেন চাঁদের উদ্দেশে তাদের কোনো কানাকড়িও খরচ করতে হবে না। তার এ মিশনের নাম হবে ‘ডিয়ার মুন’। ২০২৩ সালে চাঁদের উদ্দেশে তার যাত্রা করার কথা রয়েছে। ওদিকে তিনি আবেদনকারীদের জন্য দুটি যোগ্যতা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। তা হলো- তাদের যেকোনো কর্মকা-ের মাধ্যমে অন্য মানুষ এবং সমাজকে সহায়তার জন্য এগিয়ে যেতে হবে। অন্যটি হলো, একই রকম আকাঙ্খা নিয়ে অন্য ক্রুদের স্বেচ্ছায় সহায়তা করতে হবে। ভিডিওতে তিনি বলেছেন, ওই ফ্লাইটের সব সিট আমি কিনে নিয়েছি। ফলে আমার এই যাত্রা হবে প্রাইভেট বা ব্যক্তিগত।
জাপানের ফ্যাশন মুঘল এবং আর্ট সংগ্রাহক হিসেবে পরিচিতি রয়েছে ইয়ুসাকু মায়েজাওয়ার। তিনি এর আগে বলেছিলেন, স্টারশিপ রকেটে তিনি যাত্রা করবেন এবং এ জন্য আর্টিস্টদের আমন্ত্রণ জানাবেন। কিন্তু পরে সেই পরিকল্পনা পাল্টেছেন। বলেছেন, তিনি সারা বিশ্বের মানুষকে এই সুযোগ দিতে চান। তাই তিনি বলেন, যদি আপনি নিজেকে আর্টিস্ট মনে করেন, তাহলে আপনি আর্টিস্ট। গত বছর তার এই সফরে একজন নতুন মেয়েবন্ধুকে সঙ্গে নিতে চেয়েছিলেন। এ জন্য মেয়ে বন্ধু খুঁজছিলেন। কিন্তু মিশ্র প্রতিক্রিয়ার ফলে সেই পরিকল্পনা বাদ দিয়েছেন।
২০১৮ সালে তিনি প্রথম প্রাইভেট যাত্রী হিসেবে প্রথম স্পেসএক্স-এর মিশনে চাঁদের চারপাশে চক্কর দেন। এ কথা জানিয়েছে স্পেসএক্স কোম্পানির মালিক ইলন মাস্ক। তবে তিনি এসব কর্মপরিকল্পনার জন্য কত টাকা দিচ্ছেন তা রয়েছে গোপন। তবে ইলন মাস্ক বলেছেন, এই টাকার অংক অনেক বড়। তিনি যদি ২০২৩ সালে চাঁদে যান তাহলে ১৯৭২ সালের পর এটাই হবে চাঁদে প্রথম কোনো মানুষের যাত্রা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here