শওকত ওসমান রচি:
নিউইয়র্ক এর ৫ বোরোর মধ্যে একটি হচ্ছে স্টেটেন আইল্যান্ড( STATEN ISLAND) । তবে অন্য চার বোরো (কুইন্স,ম্যানহাটন,ব্রঙ্কস ও ব্রুকলীন) থেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন। আটলান্টিক সাগরের একটি চ্যানেল তাকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। ‘আপার বে’ নামের ওই চ্যানেল পার হয়ে দু’উপায়ে নিউইয়র্ক এর মূল ভূখন্ড থেকে দ্বীপটিতে যাওয়া যায়। এক. ফেরী এবং দুই ব্রিজ। ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত সময়সাপেক্ষ এবং অতিরিক্ত খরচের বিষয় জড়িত। একারনে সরকারের তরফ থেকে ফ্রি ফেরী সেবা রয়েছে। কয়েক হাজার চাকুরিজীবি এবং পর্যটক প্রতিদিন এ ফেরী দিয়ে পারাপার হয়ে থাকেন। আধঘন্টা পরপর দু’পার থেকে থেকে ফেরীগুলো দিনব্যাপি চলাচল করে থাকে। এতে চড়তে কোন পয়সা খরচ করতে হয়না। ফেরীগুলো শুধু মানুষ বহন করে থাকে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে বিখ্যাত সেই স্ট্যাচু অব লিবারটি’র পাশ দিয়ে যায় ফেরীগুলো।একারনে ফেরী সেবা পর্যটকদের কাছে বেশ সমাদৃত। আরেকটি কারনও রয়েছে। ম্যানহাটন থেকে যদি কেউ চলাচলকারি বিশেষ বোটে স্ট্যাচু অব লিবারটি এলাকায়
স্ট্যাচু’র কাছে যেতে চান তাকে বোট ভেদে ৩০ থেকে ৪০ ডলার খরচ করতে হয়। এরফলে পর্যটকদের অনেকেই ‘দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাত’ ফেরীতেই চেপে বসেন। আর স্ট্যাচু’র কাছাকাছি ফেরী যেতেই ক্যামেরা বা মোবাইলে শুরু হয় ‘ক্লিক’।
ফেরীতে উঠার আগে যাত্রীদের প্রস্তুতি
স্ট্যাচু অব লিবারটি’র পাশ দিয়ে যায় ফেরীগুলো
এছাড়া স্টেটেন আইল্যান্ডে প্রবাসী বাংলাদেশী সহ কয়েক লাখ লোকের বাস। কয়েক হাজার লোক ম্যানহাটন সহ অন্যান্য বোরোতে চাকরি বা ব্যবসা করে থাকেন। তাদের বড় একটা অংশ প্রতিদিনই ফেরীতে পারাপার হয়ে থাকেন। ফেরীর ভেতর ক্যান্টিন,বাথরুম এবং কয়েক’শ লোকের বসার জায়গা আছে। যারা প্রকৃতি প্রেমিক, তারা ফেরীর দু’পাশে বারান্দা দখল করে বসেন। ম্যানহাটনের হোয়াইটহল টারমিনাল থেকে ফেরী ছেড়ে যায় দ্বীপটির উদ্দেশ্যে। ‘আর’ ট্রেন একেবারে ফেরী টারমিনালের ভবনের সামনে থামে। এছাড়া রয়েছে ‘১’ ও ‘২’ নম্বর ট্রেন। ‘ই’ ট্রেনেও যাওয়া যায়। ওটা থামে একটু দূরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সামনে। ফেরীতে সব মিলিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় লাগে।
আর যাদের গাড়ি ব্যবহার করে স্টেটেন আইল্যান্ড এ যাতায়াত করতে হয় তাদের ভেরাজনো ন্যারো ব্রিজ টোল দিয়ে পারাপর হতে হয়। এ ব্রিজটি দ্বীপটির সাথে ব্রুকলীন এলাকাকে সংযুক্ত করেছে। এছাড়া স্টেটেন আইল্যান্ডের সাথে আরেক স্টেট নিউজারসির যাতায়াতের জন্য ব্রিজ রয়েছে।