স্থায়ী কমিটির বৈঠক: উপনির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি

0
489

বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
আসন্ন লক্ষ্মীপুর-২, সিলেট-৩, ঢাকা-১৪ ও কুমিল্লা-৫ আসনের উপনির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। দলটি অভিযোগ করে জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অযোগ্যতা ও প্রতিটি নির্বাচনে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপের কারণে তারা এসব উপনির্বাচনে অংশ নেবে না।

শনিবার বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি এ সভায় আগামী ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দু’দিনের কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্তও হয়। রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সভায় গৃহীত এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

কর্মসূচি অনুযায়ী বিএনপি ৩০ মে সকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশের মহানগর, জেলা, উপজেলার কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত এবং কালো পতাকা উত্তোলন করবে। পাশাপাশি জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতিহা পাঠ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন দলটির নেতাকর্মীরা।

এদিন বিএনপির মহানগর, জেলা, উপজেলা ও পৌর কমিটিগুলো জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল করবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাদ্যসামগ্রী ও বস্ত্র বিতরণ করবে দুস্থদের মধ্যে। আগের দিন ২৯ মে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হবে কেন্দ্রীয় উদ্যোগে। তবে মহানগর, জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরাও এ কর্মসূচিতে সংযুক্ত হবেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু অংশ নেন।

স্থায়ী কমিটির সভায় সরকারের দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে বেআইনিভাবে আটক ও শারীরিক, মানসিক নির্যাতন এবং তথ্য চুরির মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার ও জামিন না দেওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ এবং প্রতিবাদ জানানো হয়।

সভায় নেতারা জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের অবিলম্বে বরখাস্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। আওয়ামী লীগকে ‘গণমাধ্যমবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে এ সভায় বলা হয়, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ১৯২৩-এর প্রয়োগ, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো নিবর্তনমূলক আইন প্রণয়ন মুক্ত সংবাদিকতাকে ধ্বংস করছে। তারা অবিলম্বে সকল কালো আইন বাতিল, আটক সাংবাদিকদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সকল বিভক্তি ভুলে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান তারা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা এ বৈঠকে বলেন, করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহে সরকার শুরু থেকেই ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। রাশিয়া ও চীন থেকে টিকা প্রাপ্তিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘসূত্রতা ও অযোগ্যতার কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সংক্রমণ প্রতিরোধ ও চিকিৎসাসংক্রান্ত ব্যর্থতায় সরকারের উচিত এখনই পদত্যাগ করা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here