মাদক মামলায় সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল হতে পারে পরীমণির

0
63

বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
অবৈধ মাদকদ্রব্য রাখা, পর্নোগ্রাফি ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে গ্রেফতার চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় তিনি এখন চার দিনের রিমান্ডে। এই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। হতে পারে অর্থদণ্ডও। তবে রিমান্ড শেষে অন্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সাজা আরও বাড়বে।

পরীমণির বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার এজাহার অনুযায়ী, তার বাসা থেকে সর্বমোট ২ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকার মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে র‌্যাব। এর মধ্যে শুধু মদ উদ্ধার করা হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকার। এজাহারে বলা হয়, বনানীর ১৯/এ সড়কের ওই বাড়ির ৫ম তলায় বিপুল পরিমাণ মাদক মজুত আছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে যায় র‌্যাব। এরপর ঐ বাসা থেকে পরীমণি ও দীপুকে আটক করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য ও দেখানো মতে ১৯টি বিদেশি ব্র্যান্ডের মদ জব্দ করা হয়। যার পরিমাণ ১৮ দশমিক ৫ লিটার। প্রতি লিটার বিদেশি মদের আনুমানিক মূল্য ৯ হাজার টাকা হিসাবে এসব মদের মোট দাম ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা।

এছাড়া ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ভয়ংকর মাদক আইস ও ৫ হাজার টাকা মূল্যের এলএসডি জব্দ করা হয়। এ সময় বাসা থেকে আরও বিদেশি মদের খালি বোতল ও মাদক সেবনের অন্যান্য সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। এ সময় পরীমণি ও দীপু কেউই এসব মাদকের বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শনে ব্যর্থ হয় এবং এ বিষয়ে তারা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণির বিরুদ্ধে র‌্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬ (১) এর সারণি ২৪ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০ কেজি বা লিটারের বেশি এবং ১০০ কেজি বা লিটারের কম হলে কমপক্ষে তিন বছর ও সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হবে।

তদন্তকারী কর্মকর্তারা গতকাল সাংবাদিকদের জানান, পরীমণি চলচ্চিত্র জগতের আড়ালে জড়িয়ে পড়েন দেহ ব্যবসায়। নাম লেখান নিষিদ্ধ পর্নো ব্যবসায়। অঢেল টাকার নেশা তাকে টেনে নামায় অন্ধকার জগতে। অবশ্য পরীমণি একা নন ঢাকার শোবিজ তারকাদের অনেকেই তার সহযোগী। চক্রের বেশ কয়েক জন মাদক ও অস্ত্র কারবারের সঙ্গেও জড়িয়েছেন। প্রায় প্রতিদিনই গভীর রাত পর্যন্ত পার্টি শেষে মদ্যপ অবস্থায় বের হতেন তিনি। এছাড়া পরীমণি ধূমপানে অভ্যস্ত (চেইন স্মোকার)। তার ফ্ল্যাটের বারে বিদেশি সিগারেট ও মদের বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। তার ফ্ল্যাট থেকে রাশিয়ান ভদকা, জিন, টাকিলা, হুইস্কি ও বহু মূল্যবান রেড ওয়াইন উদ্ধার করা হয়েছে।

‘বাসায় মদের খালি বোতল দেইখাই চরিত্র বুইঝা ফেলেন?’

তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলেন, কয়েকটি ব্যাংকে পরীমণির মোটা অঙ্কের টাকা রয়েছে। যার বেশির ভাগই তিনি পেয়েছেন ধনাঢ্যদের ঘনিষ্ঠতার সুবাদে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here