বাংলা খবর ডেস্ক:
নিরাপত্তা শঙ্কায় পাকিস্তান সফর বাতিল করে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের পর ইংল্যান্ডও যায়নি বাবর আজমদের আঙিনায়। দু’দল ফের পাকিস্তান সফর করতে রাজি হলেও এবার অস্ট্রেলিয়ার কিছু ক্রিকেটার বেঁকে বসেছে। নিরাপত্তা শঙ্কায় সিরিজে যেতে অনীহা রয়েছে কারোর। জশ হ্যাজলউডের মতে, কেউ সফরে যেতে না চাইলে তার সিদ্ধান্তকে সাদরে গ্রহণ করা উচিত।
বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজসহ বেশ কয়েকটি দল পাকিস্তান সফরে করেছে। দোর্দ- প্রতাপে চলছে পাকিস্তান সুপার লীগের (পিএসএল)। তবুও পাকিস্তানে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থাকা অযৌক্তিক। হ্যাজলউড বলেন, ‘এটা ন্যায্য।
ক্রিকেটাররা তাদের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে। এটাকে সবার সম্মান করা উচিত।’
নিরাপত্তা ইস্যুতে কোনো ক্রিকেটার যদি পাকিস্তান সফরে যেতে না চায় তবে অবাক হবেন না হ্যাজলউড। তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক কিছুই আছে এবং এর পেছনে সিএ এবং এসিএ অনেক কাজ করছে। তাদের ওপর ক্রিকেটারদের আস্থা আছে কিন্তু তারপরও ক্রিকেটারদের মধ্যে কিছু উদ্বেগ দেখা গেছে এবং যদি কয়েকজন ক্রিকেটার এই সফরে না যায় তাহলে আমি অবাক হবো না।’
হ্যাজলউড শঙ্কা প্রকাশ করলেও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) সফরের পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড পাওয়া নিয়ে ইতিবাচক। গত ২৬শে জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলি বলেছিলেন, ‘আমাকে কোনো ক্রিকেটার সফরে যেতে অসম্মতি জানায়নি।’
শেষবার ১৯৯৮ সালে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রায় ২৪ বছর পর ফের পাকিস্তানের সফর নিয়ে কূটনৈতিক আলোচনা অব্যাহত রেখেছে সিএ এবং অজি ক্রিকেটারদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করা সংগঠন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ)। পাকিস্তান সফরের প্রস্তুতি ইতোমধ্যে নেয়া শুরু করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। যে কারণে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন টি- টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামে রাখা হয়েছে অজিদের কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার, ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অলরাউন্ডার মিচেল মার্শকে।
পাকিস্তান সফরে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। তিন ম্যাচের টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের পর একটি টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে দুদল। করাচিতে ৩রা মার্চ প্রথম টেস্ট দিয়ে সিরিজটি শুরু হওয়ার কথা।