বাংলা খবর ডেস্ক:
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র দাবি করেছেন, ঢাকা নগর পরিবহন পরিচালনার পরীক্ষায় তারা উত্তীর্ণ হয়েছেন। তারা বলেন, ১০০ তে ১০০ নম্বর পেয়েছি। সাবেক মেয়র আনিসুল হকের পরিকল্পনা বা স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। ঢাকা নগর পরিবহনসেবা ইতিমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে, সমাদৃত হয়েছে। ঢাকাবাসী সাদরে গ্রহণ করেছে, যাত্রীসেবার মান অত্যন্ত সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বাসরুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২২তম সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ দাবি করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সভার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে তাপস বলেন, গত সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আরও তিনটি পথ চালু হবে। তিনটি পথ চালুর অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছি। এই যাত্রাপথগুলোকে আরও সুনির্দিষ্ট করেছি। ২২তম যাত্রাপথে ৫০টি বাসসেবা চালু করা হবে। ২৩ নম্বর যাত্রাপথে ১০০টি বাস এবং ২৬ নম্বর যাত্রাপথে ৭৫টি বাস চালু করা হবে। সব মিলিয়ে ২২৫টি বাস চালু হবে। আগামী ৯০ দিনের জন্য সময় দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। ২০১৯ সালের পর থেকে এবং নতুন বাস দেয়া হবে।
বাসরুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি ও দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ট্রান্সসিলভা আরও নতুন ২০টি বাস ঢাকা নগর পরিবহনের যাত্রাপথে যুক্ত করবে। জাহান এন্টারপ্রাইজকে ৪০টি প্রস্তাবনা দেয়া আছে।
যাত্রীসেবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যাত্রীসেবা আমাদের প্রাধান্যের বিষয়। বাস সার্ভিসের যাত্রীরা অত্যন্ত খুশি। তাদের অতিরিক্ত টাকা ও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে না। নির্দিষ্ট জায়গায় থেকে উঠতে পারে আবার নির্দিষ্ট জায়গায় নামতে পারছে। আমরা মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পেরেছি।
বাস টার্মিনাল নির্মাণের বিষয়ে তাপস আরো বলেন, আন্তজেলা বাসগুলো আমাদের চারটি বাস টার্মিনালে নামাবে, ঢাকায় ঢুকবে না। এই টার্মিনালগুলো নির্মাণ এবং ঘাটারচরে ডিপো এবং টার্মিনাল করতে হবে। এই টার্মিনালগুলো নির্মাণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন তাদের নিজ নিজ টার্মিনাল নির্মাণে কাজ শুরু করবে। দ্রুত এই কার্যক্রম চালু করার জন্য আমরা আজকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ঢাকা উওর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বাসরুট রেশনালাইজেশনের আওতায় শহরের রুট যেগুলো আছে সেগুলোতে কীভাবে দ্রুত বাসসেবা দেয়া যায়, সে ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। রুট ২২-এ কীভাবে আরও ১০০ বাস দেয়া যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা করেছি। ২৩ নম্বর রুট বছিলা থেকে শুরু করে মোহাম্মদপুর, শিয়া মসজিদ, শ্যামলী, কমলাপুর হয়ে সরাসরি চলে যাবে কাঁচপুর পর্যন্ত। রুট ২৬-এ ৭৫টি বাস ঘাটারচর থেকে শুরু করে সুলতানা কামাল ব্রিজ পর্যন্ত চলে যাবে। আরেকটা রুট হবে ঘাটারচর থেকে শুরু হয়ে আজিমপুর হয়ে পোস্তগোলা কদমতলী থানা পর্যন্ত।
আতিক বলেন, বিআরটিএ থেকে প্রতিমাসে ঢাকায় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ গাড়ি নামছে সড়কে। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করে সড়কে বাসের সংখ্যা বাড়ানো যায়, সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে।
বাস টার্মিনাল নিয়ে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন, আরও ৫টি টার্মিনাল নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। ঢাকার বাইরের বাসগুলো সেই টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাবে। ঢাকায় প্রবেশ করবে না।
