সাংহাইয়ে আলিঙ্গন-চুম্বন, একসঙ্গে ঘুমানো বন্ধ

0
305

বাংলা খবর ডেস্ক:
COVID-19-এর জেরে লকডাউনের কড়া বিধি নিষেধের আওতায় রয়েছেন সাংহাইয়ের স্থানীয়রা , তারা খুব কঠিন জীবনযাপন করছেন । চীনের বর্তমান COVID-19 প্রাদুর্ভাবের হটস্পট হিসেবে উঠে এসেছে সাংহাই ।যদিও গত কয়েক দিনে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা কমেছে, তবুও অন্যান্য দেশের তুলনায় তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এই শহরের ২৬ মিলিয়ন বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে।চীনের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েইবোতে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বাড়ির ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে গান গাইছিলেন অনেকেই। সেই সময় সেখানে আকাশে ভাসমান ড্রোনের মাধ্যমে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হচ্ছে, ”দয়া করে কোভিড বিধি মেনে চলুন। স্বাধীন হতে চেয়ে আপনার ইচ্ছাকে সংবরণ করুন। জানলা খুলবেন না, গান গাইবেন না।”আরও একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে এক স্বাস্থ্যকর্মীকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিতে শোনা যাচ্ছে, ”আজ রাত থেকে দম্পতিরা আলাদা আলাদা শোবেন।

চুম্বন করবেন না, আলিঙ্গনও বারণ। খাবেনও আলাদা জায়গায়। সহযোগিতার জন্য় ধন্যবাদ।”একটি হাউজিং সোসাইটির বাসিন্দাদের এভাবেই সতর্ক করা হচ্ছিল । এক সপ্তাহ আগে, যে ভিডিওগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল তাতে দেখা গেছে চার পায়ের রোবটগুলি সাংহাইয়ের রাস্তায় টহল দিচ্ছে এবং স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা ঘোষণা করছে।কোভিড নিষেধাজ্ঞার কারণে খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের সরবরাহ নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে।নগর প্রশাসন সমস্যার কথা স্বীকার করেছে এবং পরিস্থিতির উন্নতির অঙ্গীকার করেছে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংহাইয়ের ভাইস মেয়র চেন টং বলেছেন, “সাংহাইতে চাল এবং মাংসের মতো প্রধান খাবারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, তবে মহামারী নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কারণে বিতরণ করতে সমস্যা হচ্ছে। ”তিনি বলেন যে কিছু পাইকারি বাজার এবং খাবারের দোকান পুনরায় চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং লক-ডাউন এলাকার বাইরে আরও ডেলিভারি কর্মীদের কাজে লাগানো হবে ।কর্মকর্তারা দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন সাংহাইয়ের ভাইস মেয়র। COVID-এর বিস্তার রোধ করার জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার পরে চীনের আর্থিক কেন্দ্র সাংহাই কার্যত স্থবির হয়ে গেছে।শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মী, স্বেচ্ছাসেবক, ডেলিভারি কর্মী এবং বিশেষ অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাই রাস্তায় বেরোতে পারছেন।

সূত্র : এনডিটিভি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here