স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী

0
60
ছবি: টিভি থেকে নেয়া

বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
অবেশেষে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে শুভ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার (২৫ জুন) বেলা ১২টার দিকে অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সড়ক পথের শুভ উদ্বোধন করেন। এর আগে তিনি মাওয়া প্রান্তরে নামফলক উন্মোচন করে মোনাজাতে অংশ নেন। এরপর টোলপ্লাজায় নিজ হাতে টোল প্রদান করেন।

এর আগে সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে মুন্সিগঞ্জের দোগাছি পদ্মা সেতু সার্ভিস এরিয়া-১ এ পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে সেতুর উত্তর থানা সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত সুধীসমাবেশে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি।

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাঙালি বীরের জাতি। বাঙালির ইতিহাসের প্রতিটি বাঁক রঞ্জিত হয়েছে ত্যাগ-তিতীক্ষা আর রক্ত ধারায়। কিন্তু বাঙালি আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। ’

শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাসের এক বিশেষ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলার মানুষের গর্বের ‘পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এ সেতু নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ পরার্শক, ঠিকাদার, প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, শ্রমিক, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ধন্যবাদ জানাই পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের অধিবাসীদের যাদের জমিজমা ও বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের এই ত্যাগ ও সহযোগিতা জাতি চিরদিন স্মরণ রাখবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম। অংশ নিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, দেশের রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা।

সেখানেই বেলা সাড়ে ১১টায় স্মারক ডাকটিকিট, স্যুভেনির শিট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহর উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টা ১২ মিনিটে মাওয়ায় স্থাপিত টোল প্লাজায় টোল পরিশোধের পর উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। সেখানে মোনাজাতে অংশ নেবেন সরকারপ্রধান।

বেলা ১১টা ২৩ মিনিটে মাওয়া প্রান্ত থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের উদ্দেশে যাত্রা করবেন প্রধানমন্ত্রী। দুপুর পৌনে ১২টায় জাজিরা পয়েন্টে পৌঁছে সেতু ও ম্যুরাল-২ এর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন এবং মোনাজাতে যোগ দেন তিনি।

অনেক ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি – প্রধানমন্ত্রী:

এটা শুধু সেতু নয়, এরসঙ্গে সাহসিকতা, প্রত্যয়, আবেগ জড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার পদ্মা সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের জনগণকে স্যালুট জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষ গর্বিত। অনেক ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। এই সেতু শুধু ইট, কংক্রিটের সেতু নয়, এই সেতু আমাদের গর্বের। এরসঙ্গে জড়িয়ে আছে সাহসিকতা, প্রত্যয়, আবেগ। আমরা কখনো হতাশায় ভুগিনি। আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলেছি। আজ পদ্মার বুকে জ্বলে উঠেছে আলো। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, কেউ দাবায় রাখতে পারবা না।

আমাদের কেউ দাবায়া রাখতে পারেনি। আমরা মাথা নোয়াইনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কখনো মাথা নোয়াননি। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
পদ্মার বিভিন্ন ইতিহাস তুলে ধরার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করবার পর ২২ দিনের মাথায় আমরা নকশা তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক পরামর্শক নিয়োগ দেই। তখন ওয়ার্ল্ড ব্যাংকও এগিয়ে আসে। কিন্তু আমাদের জন্য এটা লজ্জার। তিনি একটা ব্যাংকের এমডি ছিলেন। ৬০ বছরের নিয়ম থাকলেও তিনি ৭০ বছর বয়সে এমডি ছিলেন। এরপর তাকে এডভাইজার এমিরেটাস স্ট্যাটাস দেবার প্রস্তাব দেই। কিন্তু তিনি ক্ষেপে যান। তিনি দুটি মামলা করেন। মামলায় হেরে যান। এরপর দেখি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ এনে থেমে যায়। এরপর অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করলাম। কানাডায় আদালতে মামলা হয় সেখানে রায় হয় এখানে কোন দুর্নীতি হয় নাই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আমাদের দেশ। এদেশ আমার বাবা স্বাধীন করে দিয়ে গেছে। এদেশের উন্নয়ন করা দায়িত্ব। যখন সকল প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন থেকে সরে দাঁড়ালো তখন আমি সংসদে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিয়েছিলাম আমি নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করব।

পদ্মা সেতু নির্মাণে গুণগত মানে কোন আপস করা হয় নাই। এই সেতু নির্মাণ হয়েছে সর্বোচ্চ মান নিয়ন্ত্রণ করে। পদ্মা সেতুর পাইল এখন পর্যন্ত বিশ্বে গভীরতম। যা বিশ্বে আর কোন সেতুতে করা সম্ভব হয় নাই।

তিনি বলেন, সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার উন্নয়ন হবে। আমরা পদ্মার ওপারের মানুষ চিরদিন অবহেলিত হয়েছিলাম এখন আর অবহেলিত থাকব না। এখন থেকে রাজধানীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতে হবে। হিসেবে বলা হয় ১.২৩ শতাংশ জিডিপি বাড়বে, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি এর থেকে বেশি বৃদ্ধি পাবে। দারিদ্রতা কমে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবছরের শেষ নাগাদ কর্ণফুলী টানেলের কাজ শেষ হবে। মেট্রোরেলের একটা অংশের কাজ শেষ হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদন শুরু হবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ দ্রুত চলছে, ২০২৩ বা ২০২৪ সালের মধ্যে চালু হবে। আজকে মাথাপিছু আয় ২৫৯৪ মার্কিন ডলার। আমরা উন্নয়নশীল দেশ। প্রতি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১ উৎক্ষেপণ করেছি। জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি ২০৩০ এর মধ্যেই আমরা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবো। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

একনজরে পদ্মা সেতু:

প্রকল্পের নাম: পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প।
প্রকল্পের অবস্থান: রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। দেশের মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলায় প্রকল্পের অবস্থান। সেতুর উত্তর প্রান্তে মাওয়া, লৌহজং, মুন্সিগঞ্জ এবং দক্ষিণ প্রান্তে জাজিরা, শরীয়তপুর, শিবচর ও মাদারীপুর।

যেভাবে শুরু: ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু হয়। এরপর ২০০১ সালে জাপানিদের সহায়তায় সম্ভাব্যতা যাচাই হয়। ২০০৪ সালের জুলাই মাসে জাপানের আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা জাইকার সুপারিশ মেনে মাওয়া-জাজিরার মধ্যে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্মা সেতুর নকশা প্রণয়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে। মহাজোট সরকার শপথ নিয়েই তাদের নিয়োগ দেয়। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু করার চূড়ান্ত নকশা করা হয়।

একনেক সভায় অনুমোদন: ২০০৭ সালে ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন পায়। পরে নকশা পরিবর্তন হয়ে দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়ায় নির্মাণ ব্যয়ও বাড়ে। ২০১১ সালে ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকার সংশোধিত প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পায়।

২০১৬ সালে আবারও আট হাজার ২৮৬ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ালে মোট ব্যয় দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সবশেষ প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। এর পুরো টাকাই সরকারি অর্থায়ন।
প্রকল্পের মেয়াদ: ১ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ৩০ জুন ২০২৩।

পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংকের সরে যাওয়া: পদ্মা সেতু নির্মাণে ১২০ কোটি ডলারের ঋণ অঙ্গীকার করেছিল বিশ্বব্যাংক। কিন্তু অনিয়মের অভিযোগ তুলে এই অঙ্গীকার থেকে সংস্থাটি সরে যায়। এ ধরনের কাজের শর্ত অনুযায়ী মূল ঋণদাতা চলে গেলে চলে যায় অন্যরাও। কাজেই একে একে এডিবি, জাইকা ও আইডিবিও চলে যায়। এরপর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকল্পের মোট ব্যয়: ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

মূল সেতুর ঠিকাদার: পদ্মা সেতু নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির নাম চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের আওতাধীন চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি।

মূল চুক্তিমূল্য: ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

কাজ শুরু: ২৬ নভেম্বর, ২০১৪।

চুক্তি অনুযায়ী কাজ সমাপ্তির তারিখ: ২৫ নভেম্বর, ২০১৮। পরে কয়েক ধাপে সময় বাড়ানো হয়।

কাজের মূল সময়সীমা: ৪৮ মাস। বর্ধিত সময় ৪৩ মাস।
কাজ সমাপ্তির পুনঃনির্ধারিত তারিখ: ৩০ জুন, ২০২২ (বর্ধিত সময়সহ)।

এ পর্যন্ত কাজের ভৌত/বাস্তব অগ্রগতি: ৯৮ শতাংশ।

রেল সংযোগ: পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন হচ্ছে স্প্যানের মধ্য দিয়ে।

অফিসিয়াল নাম: পদ্মা সেতু।

নকশা: আমেরিকান মাল্টিন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম এইসিওএমের (অঊঈঙগ) নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরামর্শকদের নিয়ে গঠিত একটি দল।

ধরন: পদ্মা সেতুর ধরন দ্বিতলবিশিষ্ট।

প্রধান উপকরণ: কংক্রিট ও স্টিল।

রক্ষণাবেক্ষণ: বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

দৈর্ঘ্য: পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।

প্রস্থ: পদ্মা সেতুর প্রস্থ হবে ৭২ ফুট, এতে থাকবে চার লেনের সড়ক। মাঝখানে রোড ডিভাইডার।

ভায়াডাক্ট: পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার।

ভায়াডাক্ট পিলার: ৮১টি।

পানির স্তর থেকে উচ্চতা: ৬০ ফুট।

পাইলিং গভীরতা: ৩৮৩ ফুট।

মোট পিলার: ৪২টি।

মোট পাইলিং: ২৮৬টি।

সংযোগ সড়ক: পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক দুই প্রান্তে (জাজিরা ও মাওয়া) ১৪ কিলোমিটার।

মোট লোকবল: পদ্মা সেতু প্রকল্পে কাজ করছে প্রায় চার হাজার মানুষ।

প্রবৃদ্ধি বাড়বে: ১ দশমিক ২ শতাংশ।

নদীশাসন: প্রকল্প এলাকায় প্রায় ১৪ কিলোমিটার নদীশাসন করতে হচ্ছে। এর মধ্যে মাওয়া এলাকায় ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার এবং বাকি ১২ দশমিক ৪০ কিলোমিটার জাজিরা এলাকায়।

ঠিকাদারের নাম: সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেড চায়না।

চুক্তিমূল্য: ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

ভূমি অধিগ্রহণ: ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ ২ হাজার ৬৯৩ দশমিক ২১ হেক্টর।

অ্যাপ্রোচ রোড: জাজিরা ও মাওয়া।

সেতু পাড়ে বৃক্ষরোপণ: লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৪ লক্ষাধিক।

পদ্মা সেতু জাদুঘর স্থাপন: পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্প ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তির আওতায় ‘পদ্মা সেতু জাদুঘর প্রতিষ্ঠা’র জন্য নমুনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কাজ চলমান।

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও অভয়ারণ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি: পদ্মা সেতু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণা সম্পন্ন হয়েছে এবং গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। ‘খসড়া ম্যানেজমেন্ট প্লান’ চূড়ান্তকরণের কাজ চলমান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here