‘বিশ্রাম দরকার পেসারদের, স্পিনার-ব্যাটারদের তো সমস্যা নেই’

0
153

বাংলা খবর ডেস্ক:
বর্তমান সময়ের ক্রিকেটে বেশিরভাগ দলগুলোকে প্রচুর ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। এতে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম সেভাবে হচ্ছে না। সমস্যা সমাধানে ভারত, ইংল্যান্ডের মতো দলগুলো রোটেশন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। আগামী ২০২৩-২৭ চক্রে ১৮০টার মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।

তাই গত কয়েকদিন ধরেই দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে আলোচনায় এসেছে ক্রিকেটারদের বিশ্রাম প্রসঙ্গ। এ বিষয়ে আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে বিসিবির ভাবনা তুলে ধরেছেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

প্রচুর পরিমাণে আন্তর্জাতিক ম্যাচ নিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘এ তো জানা কথা। এফটিপি অলমোস্ট লক হয়ে গিয়েছে। সেখানে ২০২৩-২৭ এই চক্রে ৩৮-৪০টার মতো টেস্ট থাকবে। ৭০টার মতো টি-টোয়েন্টি আছে, ৭০টার মতো ওয়ানডেও আছে। কয়েকবছর আগেও এমন দেখা গেছে যে আমাদের তেমন একটা খেলা থাকত না। আমরা খেলার জন্য চেষ্টা করতাম, এফটিপিতে সেরকম শিডিউল পাওয়া যেত না। আমার মনে হয় যে, ডেফিনেটলি এটা খুবই কনজাস্টেড এবং প্রেশার। ‘

একটা সময় ছিল, যখন বাংলাদেশ তেমন আন্তর্জাতিক ম্যাচ পেত না। টেস্টের সংখ্যা ছিল খুবই কম। তাই এবার যেহেতু সুযোগ এসেছে বেশি ম্যাচ খেলার, তাই পেশাদারিত্ব বজায় রেখে এই টাইট শিডিউলেই ক্রিকেটারদের খেলা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান জালাল ইউনুস, ‘আমার মনে হয় এই চক্রে আমাদের খেলতেই হবে। পেশাদার হতে হলে আমাদের খেলতেই হবে। এখান থেকে বের হয়ে আসার উপায় নেই। খেলোয়াড়দের একটা বিশ্রাম দেয়ার ব্যপার থাকে। ‘

বাংলাদেশের ক্রিকেটেও ইদানিং বিশ্রামের ধারা শুরু হয়েছে। সাকিব আল হাসান তো প্রায়ই বিশ্রাম নিচ্ছেন। তবে দলের সবার বিশ্রাম দরকার আছে বলে মনে করেন না জালাল ইউনুস, ‘প্রধানত বিশ্রাম দরকার হয় ফাস্ট বোলারদের। শিডিউল অমন টাইট হলে তাদের রোটেশন করিয়ে খেলানোর ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। বাকিরা যারা ব্যাটার ও স্পিনাররা আছেন, আমি মনে করি না তাদের এই টাইট শিডিউলে কোনো সমস্যা হবে। যেটা আমাদের করতে হবে যে সামনে যেই সিরিজগুলো রয়েছে সেগুলোর জন্য আরও বেশি অর্গানাইজভাবে অনুশীলন ও বিশ্রাম সেশন ঠিকভাবে করতে পারি, তাহলে ২৭ পর্যন্ত আমরা ঠিকভাবেই সব করতে পারব। ‘

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here