ক্ষতিগ্রস্ত কিছু অংশ এখনো অন্ধকারে

0
61

বাংলা খবর ডেস্ক:
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে গত রবিবার রাত থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকার প্রায় ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকার কিছু অংশ এখনো অন্ধকারে।

দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীন থাকায় মানুষের রেফ্রিজারেটরে মাছ-মাংস ও সবজি নষ্ট হচ্ছে, চার্জের অভাবে মোবাইল বন্ধ হয়ে গেছে। ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।

ব্যাংক, অফিস-আদালতের কার্যক্রম ব্যাহত, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে ব্যবহারের পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে হাসপাতালের জরুরি সেবাও।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সারা দেশের প্রায় ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল। মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে তাদের ৭০ শতাংশের বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে। বাকিদের কাল বুধবার দুপুরের মধ্যে সম্পূর্ণ বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। বিতরণকারী কম্পানিগুলোর প্রায় দুই হাজার পোল (বৈদ্যুতিক খুঁটি) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সোমবার ভোররাত থেকেই কাজ করছে উপকূলীয় এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী দুই প্রতিষ্ঠান আরইবি এবং ওজোপাডিকো। প্রতিষ্ঠান দুটি আজ সন্ধ্যা নাগাদ উপকূলীয় বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে পারলেও ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হওয়া এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে আরো সময় লাগবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

আরইবির কর্মকর্তারা বলছেন, কিছু এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। একই সঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যাওয়ায় ট্রান্সফরমার পরিবহন করে নিয়ে যেতে সময় লাগছে তাদের।

আরইবির সদস্য আমজাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা কাজ করছি। তবে কতক্ষণ নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা বলা কঠিন। প্রতিটি সমিতিতে পৃথক পৃথক প্রকৌশলী দল রয়েছে। যারা কাজ করছেন। একটি সমিতির পুরো কাজ শেষ হলে আমাদের সেটি জানানো হচ্ছে। ’

ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানির (ওজোপাডিকো) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আজহারুল ইসলাম সন্ধ্যা ৭টার দিকে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমাদের বেশির ভাগ বিতরণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পেরেছি। ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হওয়ায় শুধু ভাঙ্গা এবং সদরপুর এই দুটি উপজেলায় এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ দিতে পারিনি। আমাদের কর্মীরা কাজ করছে। রাতের মধ্যেই এ দুটি এলাকায়ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারব। ’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here