ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘দয়ালু মা’ অভিহিত করে তিন নারী নোবেল বিজয়ী বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশের এখন বেশি করে আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন।
মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নৃশংসতাকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করে তিন নারী নোবেল বিজয়ী আরো বলেছেন, এ নৃশংসতার জন্য দায়ীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
গত বুধবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতকালে তারা একথা বলেন। এই তিন নারী নোবেল বিজয়ী হলেন, শিরিন এবাদি, মাইরিয়াদ ম্যাগুইয়ার ও তাওয়াক্কুল কারমান। তারা বলেন, রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা চালানোর জন্য মিয়ানমারকে অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করতে হবে এবং বিশ্বকে এ গণহত্যার বিপক্ষে দাঁড়াতে হবে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, নোবেল বিজয়ীরা বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার বর্ণনা শুনে অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। এটি একটি গণহত্যা। আর বিশ্ব কিছুতেই এ নিয়ে নীরব থাকতে পারে না।’ তারা মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭৭ সাল থেকে কিভাবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসতে শুরু করে তা বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। মিয়ানমারে নৃশংসতার শিকার হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ১০ লাখ ৭৮ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। আমরা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি।’ প্রধানমন্ত্রী এ সংকট সমাধানে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এসময় উপস্থিত ছিলেন।