নিউইয়র্ক থেকে: প্রবাস প্রজন্মে বাঙালি সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়ার সংকল্প গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শহর বোস্টনে পালিত হলো মহান একুশে তথা ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেট অঙ্গরাজ্যের ক্যামব্রিজে একটি কমিউনিটি মিলনায়তনে ‘নিউ ইংল্যান্ড বাংলাদেশ-আমেরিকা ফাউন্ডেশন’ পরিচালিত ‘কিশলয় বাংলা স্কুল’র এ আয়োজনে নতুন প্রজন্মের বিপুল উপস্থিতি ঘটেছিল।
শুরুতে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের পর থেকে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এবং পরবর্তীতে সকল গতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত সকল বীর শহীদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
এ উপলক্ষে সেখানে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং উপস্থিত অভিভাবক-সুধীবৃন্দ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
স্কুলের সংগীত শিক্ষিকা রাজু বড়ুয়ার পরিচালনায় ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ও ভাষা দিবসের গান পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়া স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা একক গান ছড়াও কবিতা আবৃত্তি করে শোনায়।
বাঙালি জাতির ইতিহাসে বেদনা ও চির গৌরবদীপ্ত আর অহঙ্কারে মহিমান্বিত মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মো. ফজলুল হক। তিনি প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজম্মের মাঝে বাংলা ভাষা চর্চার অন্যতম মাধ্যম কিশলয় বাংলা স্কুল কর্তৃপক্ষকে বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বাংলাভাষা চর্চার জন্য প্রধান অতিথি ফজলুল হক স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আরো সচেতন হওয়ার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ করেন।
স্কুলের বাংলা শিক্ষিকা কামরুন নাহার কান্তার সঞ্চালনায় ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে অংশগ্রহণ করে তানহা, সিনহা ,শান্ত, শ্রুতি, আরবিন, রাকা প্রমুখ। ভিন্ন ভাষার আমেরিকান ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে স্যামান্তা ও নাতাশা অন্যতম ছিল। মহান একুশ উপলক্ষে বিশেষ নৃত্য পরিবেশন করে স্কুলের ছাত্রী রাকা।
অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতা, পরিচালনা ও সঞ্চালনায় ছিলেন ঝিনুক, রাজু বড়ুয়া, পম্পী ও কামরুন নাহার কান্তা।