আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজে একটি মাদ্রাসায় দেশটির সেনাবাহিনীর বোমা হামলায় শিক্ষার্থীসহ অন্তত: ৭০ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে বহু কুরআনের হাফেজও রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। হামলার পর সেখানে এক মানবেতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার এই হামলার ঘটনা ঘটে।
তবে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রাদমানিশ হামলার লক্ষ্য ছিলেন একজন শীর্ষ তালেবান কমান্ডার। এই বিমান হামলায় অন্তত: ৩০ তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে। যার মধ্যে নয়জন রয়েছেন কমান্ডার। ওটা ছিল তালেবান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ওখানে কোনো বেসামরিক লোক ছিল না। যদিও তালেবান বলছে, হামলার সময় সেখানে তাদের কোনো যোদ্ধা উপস্থিত ছিল না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন সেখানে অনেক বেসামরিক লোক ছিলেন। নিহতদের পরিবারের সদস্যরাও একই কথা বলেছেন। হামলার একজন প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ আব্দুল হক বলেন, ধর্মীয় কোর্স (কুরআনের হেফজ) সম্পন্ন করা ১১ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুরা সেখানে অ্যাওয়ার্ড নেয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছিল। সেসব শিশুর মায়েরা হাসপাতালের বাইরে কাঁদছিলেন। তাদের সঙ্গে অন্যরাও কাঁদছিলেন।
অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন হামলায় অন্তত ১০০ লোক নিহত হয়েছে। আমি যখন নিজের খামারে কাজ করছিলাম তখন দেখলাম হেলিকপ্টার ও জঙ্গি বিমান হামলা করছে। যেখানে নতুন কুরআনের হাফেজরা তাদের স্বীকৃতি নেয়ার জন্য উপস্থিত হয়েছিল। এই এলাকা তালেবানরা সক্রিয় তবে ওই অনুষ্ঠানে যারা উপস্থিত ছিল তাদের বেশিরভাগই শিশু ও কিশোর।
হাজী সাঈদ নামের স্থানীয় আরেক বাসিন্দা বলেছেন, এটা ছিল একটা দুর্যোগ, সর্বত্র শুধু রক্ত আর রক্ত। অনেক মানুষ সেখানে নিহত হয়েছে।
মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর সহায়তায় বেশ কিছুদনি ধরে এ ধরনের হামলা করছে আফগান সরকার। দেশটির জাতিসংঘ মিশনের সহকারি টুইটারে লিখেছেন তারা ঘটনা তদন্ত করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here