ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের একটি মসজিদে আযানের প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইসরায়েল। শুক্রবার হেবরনের ইব্রাহিমি মসজিদে আজান দেয়ার প্রতি ইসরায়েলে নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের ধর্ম মন্ত্রী ইউসেফ আদাইস।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের এ নিষেধাজ্ঞাকে ‘একটি বিপজ্জনক উদাহরণ’ এবং ‘উপাসনার স্বাধীনতার স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ইউসেফ আদাইস।
মন্ত্রী জানান, ”উপাসনার উপর এমন নিষেধাজ্ঞার অর্থ হলো, ইহুদি দখলদাররা এলাকাটির মুসলিমদের পবিত্র স্থানের উপরও নিয়্ন্ত্রণ অর্জনের চেষ্টা করছে।”
১৯৯৪ সালে ইসরায়েলি-আমেরিকান ইহুদি বারুক গোল্ডস্টেইন, মসজিদে প্রার্থনা করার জন্য ২৯ ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করে। পরে নিজে আত্মঘাতি হয়। তারপরই এ মসজিদটি নবী ইব্রাহিম (আ:) এর কবরের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ধারণা করে এটি দুটি অংশে ভাগ করা হয়। এর ৪৫ শতাংশ মুসলিমদের এবং ৫৫ শতাংশ ইহুদিদের উপাসনার জন্য নির্ধারণ করা হয়।
ইব্রাহিমি মসজিদটি হেবরনের ওল্ড সিটি জেলায় অবস্থিত। যেখানে প্রায় ৪০০ ইহুদি বসবাস করে। আর তাদের নিরাপত্তা দেয় দেড় হাজার ইসরায়েলি সেনা। অপরদিকে মসজিদটিতে এক হাজারেও বেশি ফিলিস্তিনি নিয়মীত নামাজ আদায় করে।
এরআগে কয়েকবার ইব্রাহিমি মসজিদে মুসলমানদের এবং পর্যটকেদের প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইসরায়েল। তবে ইহুদিদের উপাসনা কখনো বন্ধ হয়নি।
পশ্চিম তীরে মসজিদে আযান নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি গাজা সীমান্তে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে সরাসরি গুলি করে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েলি সেনারা। বিশ্বের বিভিন্ন সংগঠন ও দেশের নিন্দা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধ করছে না ইসরায়েল। পরপর দুই শুক্রবারে ইসরায়েলি বাহিনীল গুলিতে কমপক্ষে ২৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here