মহাসচিবের মতো বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় নির্বাচনের আগে সিনিয়র নেতাদের কেউ কেউ লোভে পড়তে পারেন। এ অবস্থায় দলের নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, মহাসচিবের সঙ্গে একমত আমি, এমনটি ঘটতে পারে। নির্বাচনের সময় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের কেউ কেউ লোভে পড়তে পারেন, প্রকৃত নেতাকর্মীরা এটা কখনো করবে না। এটা শুধু এ সময়ে এসেই নয়, ইতিহাসের বিভিন্ন সময় এমনটি ঘটতে দেখা গেছে।
আমাদের অর্থনীতিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, জিয়া পরিবারের সঙ্গে আমি রয়েছি, ভবিষ্যতেও থাকব। তবে রাজনীতিতে কখন কী অবস্থা দাঁড়ায়, কে কী করেন এটা কোথাও কোনো সময় নিশ্চিত নয়। কেউ কি কল্পনা করতে পেরেছিল, খোন্দকার মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর সরকার গঠন হবে? পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে অনেক সময় অনেকের দ্বারা এমনটি হয়ে যায়। পৃথিবীর দীর্ঘ ইতিহাস দেখলেও তা দেখা যায়। ক্ষমতার জন্য বাপ তার সন্তানকে হত্যা করেছে, ছেলে বাপকে হত্যা করেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সিনিয়র নেতাদের সমন্বয়হীনতা সরকারি দলের একটা অপপ্রচার। ভাইস-চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে প্রতি মাসে একটা মিটিং হয়। প্রত্যেকটি মিটিংয়ে আমি উপস্থিত ছিলাম। মিটিংয়ের প্রথমে টেলিফোনে তারেক রহমান বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রতি আমরা আস্থাশীল। আমরা তাকে মানি। কারণ কাউকে না কাউকে তো আমাদের মানতে হবে। মানতে হলে জিয়াউর রহমানের ব্লাডকে মানাই ভালো। সেখানে তো দেখি না তার সঙ্গে আমাদের কোনো সমন্বয়হীনতা রয়েছে। তারেক রহমান হয়তো অনেক দূরে আছেন। তার চিন্তা ও আমাদের চিন্তার মধ্যে হয়তো ডিফারেন্স হতে পারে। কিন্তু উনাকে ডিঙিয়ে আমরা কোনো কিছু চিন্তা করি না। সবগুলো কমিটির মতামত সমন্বয়ে সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় বিএনপিতে।