সৃষ্টিকর্তা আমাকে দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন । মৃত্যুকে আমি খুব কাছ থেকেই দেখেছি। আমার চোখের সামনে আগুনে পুড়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়তে দেখেছি। দ্বিতীয় জীবন পেয়ে বাড়ি ফিরছি ।
রোববার (৮ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার সময়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় শাহরিনকে । হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার সময় সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন নেপালের ত্রিভুবন ইউএস বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় আহত শাহরিন আহমেদ। পরে তিনি একটি গাড়ি চেপে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। শাহরিনের সঙ্গে ছিলেন তার মা ফেরদৌসি মোস্তাক। এ সময়ে তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
চিকিৎসক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, শাহরিন ৯০ ভাগ সুস্থ হয়েছেন। আগামী দুই সপ্তাহ পর তাকে ফোলআপ চিকিৎসার জন্য আসতে হবে। এরপর তারা একটি প্রাইভেটকার যোগে চেপে ডিওএসএইচের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দিতে।
এছাড়াও ইউএস বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় যে তিনজনকে আহত অবস্থায় সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে কবির হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার একটি পা কেটে ফেলা হতে পারে।
১২ মার্চ ইউএস-বাংলার বিমান নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী ও চার জন ক্রু ছিলেন। এ ঘটনায় ২৬ জন বাংলাদেশি, ২২ জন নেপালি ও একজন চীনা নাগরিক নিহত হন। নিহত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৩ জনের মরদেহ ১৯ মার্চ ও তিনজনের মরদেহ ২২ মার্চ দেশে আনার পর দাফন করা হয়।
আহত হন ১০ বাংলাদেশি, ১১ জন নেপালি ও মালদ্বীপের একজন। আহত বাংলাদেশিদের মধ্যে ১৫ মার্চ শাহরিন আহমেদকে, পরদিন মেহেদী, স্বর্ণা ও এ্যানিকে, ১৭ মার্চ সৈয়দ রাশেদ রুবাইয়াত, ১৮ মার্চ শাহীন ব্যাপারী এবং ১৯ মার্চ কবির হোসেনকে দেশে আনা হয়। পরে কবির হোসেনের অবস্থা খারাপ হলে তাকে ২৫ মার্চ রাতে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়। ২৬ মার্চ বিকালে চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে মারা যান শাহীন ব্যাপারী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here