তিন বছর আগে সরকার পতনের দাবিতে বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধ চলাকালে কুমিল্লায় বাসে পেট্রল বোমা হামলা চালিয়ে হত্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
রবিবার সকাল কুমিল্লার ৫নং আমলি আদালতের বিচারক মুস্তাইন বিল্লাহ এ আদেশ দেন। এই মামলায় আগামী ১০ এপ্রিল জামিন শুনানির নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক। এই মামলায় খালেদা জিয়ার আইনজীবি কাইমুল হক রিংকি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এসময় আদালত রাষ্ট্রপক্ষকে খালেদা জিয়াকে কেন হাজির করা হয়নি জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, বেগম জিয়ার অসুস্থতার কারণে তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দী। গত ১২ মার্চ এই মামলায় বিএনপি নেত্রীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২৮ মার্চ তাকে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট বা হাজিরা পরোয়ানা জারি করেন বিচারক মুস্তাইন বিল্লাহ।
তবে সেদিন বিএনপি নেত্রীকে আদালতে হাজির না করায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শাতে বলেন কুমিল্লা ৫ নং আমলি আদালতের বিচারক কাজী আরাফাত।
আর বিএনপি নেত্রীকে সেদিন হাজির না করায় সেদিন খালেদা জিয়ার হাজিরা পরোয়ানা প্রত্যাহার ও জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হয়নি। আর আগামী ৮ এপ্রিল এই দুই আবেদনের ওপর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক।
২০১৫ সালে বিএনপির অবরোধ আন্দোলন চলাকালে ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে চৌদ্দগ্রামের মিয়ার বাজার এলাকায় ইউনিক পরিবহনের একটি বাসে পেট্রল বোমা হামলা হয়। এতে দগ্ধ হয়ে আটজন মারা যান। আহত হন আরো অন্তত ২০ যাত্রী।
এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য জামায়াত নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি করে ৫৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২০ জনের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করে পুলিশ। এতে খালেদা জিয়াসহ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় ছয় নেতাকে করা হয় হুকুমের আসামি।
এই ঘটনায় করা হত্যা মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গত ২ জানুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম জয়নব বেগম। একই ঘটনায় করা বিস্ফোরক আইনের গত বছরের ৯ অক্টোবর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে কুমিল্লার আদালত।
দুটি মামলাতেই খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা পড়েছে আদালতে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here