জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জ্বালানী সাশ্রয়ী পরিবেশ বান্ধব উন্নত চুলার দিন দিন কদর বাড়ছে।বাগেরহাটে লক্ষাধিক পরিবার এখন পরিবেশ বান্ধব উন্নত চুলা ব্যবহার করছে।
আগামী ২০২১ সালের মধ্যে প্রতিটি পরিবার যাতে এই চুলা ব্যবহার করে সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে পরিবেশ অধিদপ্তরও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলো।
বাগেরহাট জেলার চিতলমারী, মোল্লাহাট, ফকিরহাট, কচুয়া, রামপাল ও মোরেলগঞ্জ এই৬উপজেলা লক্ষাধিক পরিবার এখন পরিবেশ বান্ধব উন্নতচুলার আওতায়এসেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব মতে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪হাজার নারী ও ৩২হাজার শিশু শুধুমাত্র ধোয়ার কারনে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
সে কারনে আগামী ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘরে পরিবেশ বান্ধব উন্নত চুলা ব্যবহার পৌছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে বাগেরহাটে লক্ষাধিক পরিবার পরিবেশ বান্ধব উন্নত চুলা ব্যবহার করছে।
চুলা ব্যবহারকারি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা গ্রামের গৃহবধু সালমা বেগম বলেন, পরিবেশ বান্ধব উন্নত চুলা ব্যবহারে কাঠ কম লাগে, ধোয়া হয় না।আমরা সহজেই রান্না করতে পারি।অন্যদিকে রাবাশিয়া গ্রামের গৃহবধু তাছলিমা বেগম বলেন, আমি প্রথমে একটা দুইমুখী চুলা ব্যবহার করেছি।পরবর্তীতে বহনযোগ্য চুলা ব্যবহার করছি।এই চুলাটা আমি যখন যেখানে নিয়ে ব্যবহার করতে পারছি।আমার সবদিক দিয়ে সুবিধা হয়েছে।আমার চুলা দেখে আমার ননদ, ভাবিও পাশের বাড়ির লোকজন ব্যবহার করছে।’
পরিবেশ বান্ধব উন্নত চুলা তৈরী কারখানার শ্রমিক নুর মোহাম্মদ বলেন, আমরা ২৬ জন কর্মী এই চুলা তৈরীক রছি।বর্তমানে দৈনিক ২৮০ থেকে ৩০০শ চুলা তৈরী করতেপারি।গ্রাহকের কাছে চুলা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়।
অপর শ্রমিক শ্রিপা বলেন, আমরা একটা কর্মসংস্থান পেয়েছি।এই চুলা তৈরী করে যে পারিশ্রমিক পাই তাতে ভালভাবে সংসার চলে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here