নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা মুক্তিযোদ্ধা ও নারী নেত্রী আয়েশা খানম বলেছেন, নারী কোটা বাতিলের এখনো সময় আসেনি। নারীদের জন্য সংরক্ষিত কোটা পিছিয়ে পড়া নারীদের অগ্রসর করতে তুলতে আরও কয়েকবছর থাকা দরকার। চ্যানেল আইকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্র সমাজের কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের মুখে জাতীয় সংসদে কোটা প্রথা বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘোষণা কার্যকর হলে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ নারী কোটা বাতিল হয়ে যাবে।
আয়েশা খানম বলেন, আমার মনে হয় নারী কোটা বাতিল করার সময় এখনো আসেনি। ফলে কোটা বাতিল করাটা ঠিক হয় নাই। তবে কোটার হার কমিয়ে কাট ছাট করা যেত। কোটা বাতিল না করে সংস্কার করা খুবই দরকার বলে মনে করি।’
কিছু কিছু বিশেষ পদে ১০ শতাংশের বেশি সংখ্যায় নারীদের নিয়োগের প্রচলন রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬০ শতাংশ নারী কোটায় নিয়োগের মতো ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরে কী হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আয়েশা খানম বলেন, একসময় পিছিয়ে পড়াদের কথা চিন্তা করে জেলা, আদিবাসী ও প্রতিবন্ধী কোটা চালু করা হয়েছিল। এইসব কোটাও থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে নারীদের চলমান কোটা থাকা ভালো।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিষয়ে তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা দরকার আছে। কিন্তু সেটা নাতি-পুতি পর্যন্ত টেনে নেওয়াটা ভাববার বিষয়। আমাদের আরেকটু অপেক্ষা করা দরকার। উন্নয়নের বিকাশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে অনেক কিছুই অনেক সময় সংস্কার করতে হয়। এটা উন্নয়ন বিকাশের নিয়ম, ধারা, শর্ত। আর আন্দোলনকারীরাও তো বাতিল চায়নি। সংস্কার চেয়েছিল। ফলে সংস্কার করা যেত। কোটার হার কমিয়ে আনা যেত।
আয়েশা খানম বলেন, কোটা নিয়ে মন্তব্য করতে আমাদের আরেকটু অপেক্ষা করা দরকার। আমি জানি না প্রধানমন্ত্রী কীভাবে বলেছেন আর কীভাবে চিন্তা করছেন। তিনি একবার উঠিয়ে দেবার কথা বলেছেন, আবার বলেছেন বিবেচনাও করা হবে। সুতরাং বিষয়টা পুরোপুরি বুঝতে আমাদের আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে।