লারিজানি বলেন, সিরিয়ার ওপর আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের বর্বরোচিত হামলা আন্তর্জাতিক আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন। এ হামলার প্রতি ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশাপাশি কিছু মুসলিম দেশও সমর্থন দেয়ায় লারিজানি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি প্রশ্ন করেন, মুসলমানদের ঐক্যের দিন হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ (সা)’র পবিত্র নব্যুয়ত প্রাপ্তি দিবসে ইসলাম ধর্ম বিরোধী নেতা এবং ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানো কী তাদের জন্য লজ্জা ও অপমানজনক নয়? গত শনিবার সিরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক হামলার দিন সারা বিশ্বের মুসলমানরা নব্যুয়ত প্রাপ্তি দিবস পালন করেছে।
সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পূর্ণ সমর্থনকারী দেশ বিশেষ করে ইসরায়েল এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সৌদি আরব, বাহরাইন এবং কাতারও যোগ দিয়েছে। বিভিন্ন মতবিরোধে বিভক্ত ২২ সদস্যের আরব লীগ যখন রোববার সৌদি আরবের দাহরান শহরে শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হতে যাচ্ছে এর কয়েক দিন আগে সিরিয়ায় হামলা চালানো হলো।
লারিজানি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মুসলিম ঐক্য এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিদার দেশগুলো একদিকে সন্ত্রাসীদের সমর্থন দিচ্ছে এবং অন্যদিকে মুসলিম জাতিগুলোর ওপর হামলায় ইসলাম বিরোধী নেতাদের কাছে নিজেদের সম্পদ বিলিয়ে দিচ্ছে।