স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বলছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের খবর সঠিক নয়। এদের তো আইডেনটিফাই করার কোন প্রয়োজন নেই। এরা বলছে ৫ মাইল ৫ কিলোমিটারের মধ্যেই এদের বাড়িঘর রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন মিয়ানমারের এই আচরণ হাস্যকর। এই ৫ জনকে নিয়ে মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হয়েছে বলে যে জিনিসটা প্রচার করার জন্যে চেষ্টা করলো এটাতো হাস্যকর। তারা যেভাবে বিষয়টাকে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে প্রচার করার জন্য সচেষ্ট থেকেছে বা প্রচার করেছে সেটা কিন্তু আমার কাছে দুরভিসন্ধিমূলক মনে হয়।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, সাড়ে ১১ লাখ অথবা ১২ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে ৫ জন, এটা হাস্যকর ব্যাপার এবং পাগলামী। পুরো ব্যাপারটা তাদের হাতের কব্জার মধ্যে। আমরা এখানে তাদের গোল খেয়ে তাদের খাঁচার মধ্যে আবদ্ধ হয়ে গেছি। মিয়ানমারের এমন আচরণের প্রতিবাদ করে বিশ্বের সামনে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়কে এখনই পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দেন তারা।
এখনো চাপ দেওয়ার সুযোগ আছে। চীনকে বাধ্য করতে হবে যে, তোমরা রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার জন্যে মিয়ানমারকে বলো। ঘরের পাশে একটা জেনোসাইড হয়েছে এই জেনোসাইডে পুরো বিশ্ব সোচ্চার। কিন্তু তার পরেও আমরা কেনো বিশ্বের সাপোর্ট নিতে পারছিনা। এই ধরনের আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিয়ানমার যে সচেষ্ট হতে পারে এই বিষয়টা সম্পর্কে সজাগ থাকা দরকার এবং আন্তর্জাতিক গনমাধ্যমে বিষয়টা সঠিকভাবে উপস্থাপনের জন্য যদি আমাদের কোন উদ্যোগ নেয়ার সুযোগ থাকে তবে সেটা নেয়া উচিত।
এ মাসের শেষে সফরে আসা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সামনে বিষয়টা তুলে ধরার তাগিদ দেন সাবেক কূটনীতিকরা।