কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি খাতে এক যোগে কাজ করার ক্ষেত্রে কমনওয়েলথ বাস্তব সহযোগিতা দিতে পারে। আফ্রিকা ও ক্যারিবিয়ান অন্চলের ক্ষুদ্র ও দ্বীপ রাষ্ট্র এবং এলডিসি ভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর সাথে কমনওয়েলথের বানিজ্য সর্ম্পক আরো জোরদারের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কমনওয়েলথ ভুক্ত বাণিজ্যে প্রসার, বিনিয়োগ ও উদ্ভাবন উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ দফা প্রস্তাব দেন। সদস্য দেশগুলোর অভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতেই প্রধানমন্ত্রীর এই ৭ দফা প্রস্তাবনা। প্রস্তাবগুলো হল:
১. সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শিল্প সম্ভাবনা ও উৎপাদনশীলতার খাত ভিত্তিক সমীক্ষা প্রয়োজন।
২. ছড়িয়ে থাকা বিনিয়োগ সম্ভাবনাসহ অভিন্ন বিনিয়োগ নীতি, নির্দেশনা ও কৌশল গ্রহণ।
৩. বাণিজ্য সহায়ক সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন এবং পিটিএ ও এফটিএ-র অশুল্ক বাধা কমিয়ে আনা।
৪. সেবা বাণিজ্যের জন্য উদারশাসন এবং স্বতন্ত্র পেশার সেবা সুবিধার জন্য খোলাবাজার চালু।
৫. প্রকৃত ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ যাতায়াত এবং সরকারি ও বেসরকারি ক্যাটাগরিতে নির্দিষ্ট লোকদের জন্য ভিসা সহজীকরণ।
৬. অবকাঠামো এবং যোগাযোগ প্রকল্প গ্রহণ।
৭. এসএমই এবং ব্লু ইকোনমি খাতসহ উৎকৃষ্ট কেন্দ্র এবং প্রতিষ্ঠানের সহায়তা এবং উন্নয়ন, আরএন্ডডি, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তহবিল গঠন।
কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোর জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের নিচে, তাদের বৃহত্তম সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনা শক্তির পরিচালনায় কমনওয়েলথকে অবশ্যই এই বিপুল মেধাবীদের কাজে লাগাতে হবে।’
গতকাল লন্ডনে র্শীষ ব্যবসায়ীদের সাথে ১৩ দেশের সরকার প্রধানদের বৈঠকে যোগদান করে প্রধানমন্ত্রী বিনিয়োগকারীদের র্সবাত্বক সহযোগিতা দেবার আশ্বাস দেন।বিশ্বের র্শীষ ব্যবসায়ী নেতাদের বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগের আহ্বাবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here