জিয়া মুজিবনগর সরকারের বেতনভুক্ত চাকুরে ছিলেন: হাছান মাহমুদ

0
132

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুজিবনগর সরকারের পাঁচশত টাকার বেতনভুক্ত চাকুরে ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথম সরকার গঠন করা হয় ১৭ এপ্রিল। আর সেই সরকারের বেতনভুক্ত চাকুরে ছিলেন জিয়াউর রহমান। যারা বলেন জিয়াউর রহমান এই করেছেন সেই করেছেন তারা কি জানেন জিয়াউর রহমান মুজিবনগর সরকারের পাঁচশত টাকা বেতনভুক্ত চাকুরে ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর কমান্ডরা এই সরকারের কাছ থেকে বেতন নিতেন।
বুধবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু আদর্শ মূল্যায়ন ও গবেষণা সংসদ আয়োজিত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে অনেক ধুম্রজাল সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করা হয়। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা হয়েছিল, শেখ মুজিব জাতির সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে এবং পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন ঘোষণা করেছে। নিউইয়র্কস টাইমর্সের সান্ধ্য ভার্সন ও পৃথিবীর বিভিন্ন পত্র পত্রিকাতেও লেখা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা এবং চট্টগ্রামে ২৬ মার্চ সকালে তৎকালীন অবিভক্ত চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম চট্টগ্রাম বেতার থেকে পাঠ করে শুনান। এরপর ২৭ মার্চ করল ডাঙ্গা পাহাড় থেকে জিয়াউর রহমানকে ধরে এনে আওয়ামী লীগের নেতারা স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করান। প্রথমে ভুল পাঠ করেছিলেন, পরে লিখে দিয়ে আবার শুদ্ধ করে পাঠ করান।
পাকিস্তানিরা ২৫ মার্চ রাতে চট্টগ্রামে মুহুর মুহুর গুলিবর্ষণে বহু মানুষ হত্যা করেছিল জানিয়ে আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২৬ মার্চ সকাল বেলা নুরুল হক জীবনবাজি রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা মাইকিং করে প্রচার করেছিলেন। আর জিয়াউর রহমান পরের দিন ২৭ মার্চ চার দেয়ালের মধ্যে বসে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। আর নুরুল হক হাতের মুঠোয় জীবন নিয়ে মাইকিং করে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেছিলেন। তাই স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করার জন্য যদি কাউকে বাহবা দিতে হয় তাহলে জিয়াউর রহমানের চেয়ে নুরুল হক বেশি বাহবা পাবে।
‘তারেক রহমানকে দেশে এনে বিচারের অপচেষ্টা করছে সরকার’ বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের কড়া সামলোচনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারেক রহমানের অনেক আগেই বিচার হয়ে গেছে এবং আরো বিচার চলছে। তারেক রহমানের দুর্নীতি উৎঘাটন করেছে এফবিআই এবং সিঙ্গাপুর সরকার। তিনি সেই মামলায় ১০ বছরের সাজা প্রাপ্ত আসামি। সমস্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ সরকার সব সময় নিয়ে থাকেন। আমাদের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বন্ধি বিনিময় চুক্তি এখনো চুড়ান্ত পর্যায়ে যায়নি। তাই তাকে আনতে কিছুটা জটিলতা থাকলেও তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব।
বিএনপি নেতাদের প্রতি প্রশ্ন রেখে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনাদের দায়িত্ব কি দুর্নীতির দায়ে সাজা প্রাপ্ত আসামিদেরকে রক্ষা করা? এ জন্যই কি আপনাদের গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা বাতিল করেছেন? এই ৭ ধারা বাতিলের পর বিএনপি এখন সারা দেশের দুর্নীতি বাজদের আশ্রয়স্থলে পরিনত হয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিক হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- সাবেক বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শামসুল হক রেজা, অরুন সরকার রানা প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here