মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং স্পেনের এক নারীকে পাশাপাশি দেখলে মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক যে তারা জমজ ভাই-বোন। কিন্তু বাস্তবে মুখোমুখি হওয়া তো দূরের কথা তাদের মধ্যে কোনো রক্তের সম্পর্কও নেই।
হাফিংটন পোস্টের এক খবরে বলা হয়েছে, ডলোরেস লেইস অ্যানটেলা নামে ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গে স্পেনের প্রত্যন্ত এলাকা কাবানা ডি বারগানটিফিওসের একটি ফার্মে ৪০ বছর ধরে বসবাস করছেন। তার নিজের কোনো কম্পিউটার কিংবা কোনো মুঠোফোনও নেই। তিনি কখনো নিজে তার কোনো ছবি আপলোড করেননি। তার পরও তিনি আজ পরিচিত মুখ।
পলা ভাজকুইজ নামে এক সাংবাদিকের তোলা ছবিতেই গোটা বিশ্বে পরিচিতি পান অ্যানটেলা। সাম্প্রতিক ঝড়গুলোতে কীভাবে সামঞ্জস্য বজায় রেখে ফসল ফলাচ্ছেন এমন একটি নিবন্ধের জন্য এই ছবিটি তোলেন ওই সাংবাদিক। সেখানে দেখা যায়, কোদাল নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ডলোরেস।
স্প্যানিস পত্রিকা ভারো ডি ভিগাকে ভাজকুইজ বলছিলেন, তিনি যখন অ্যানটেলার ছবি তোলেন তখন তিনি তার খামারে বাঁধাকপি তুলতে গিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কিছুক্ষণের জন্য যখন তার সঙ্গে কথা বলছিলাম তখন আমার প্রেমিকা তার কয়েকটি ছবি তুলেছিল। পরে আমিও সুযোগ বুঝে তার কয়েকটি ছবি আমার ফোনে তুলে নেই।’
পরে সেই ছবিই নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন ওই সাংবাদিক। তিনি বলেন, ওই নারী তখন নিজেও জানতেন না যে তার চেহারা কোনো নেতার মতো দেখতে। তবে তিনি না দেখলেও অন্যরা সেটি ঠিকই লক্ষ্য করেছেন। পোস্টের পর পরই ছবিটি ভাইরাল হয়।
নিউজউইকের মতে, অ্যানটেলার ওই ছবিটি আট হাজারের বেশিবার পছন্দ করা হয়েছে এবং চার হাজার ৭০০ বার টুইট করা হয়েছে। পরে বিষয়টা একটি গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ হয়ে ওঠে।
পরে বিষয়টা কানে আসে স্পেনের ওই নারীর। স্প্যানিশ পত্রিকা লা ভজ দে গালিসিয়াকে অ্যানটেলা বলেন, ‘আমার ছবিটি অনেকদূর এগিয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। এটা আমার চুলের রঙের কারণে হতে পারে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো দেখতে এ কথা জানার পর নিজেও আনন্দিত অ্যানটেলা। তিনি বলেছেন, আশেপাশের অনেক লোক এখন তাকে ট্রাম্পের আত্মীয় বলে ডাকেন।
বিষয়টি নিয়ে বেশ উত্তেজিত ডলোরেসের মেয়ে অ্যানা বলেন, ‘ধরুন যদি আমরা ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিবার হই!’
যদিও এ ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কোনো টুইট করা হয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here