আনন্দবাজার জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাশ্মীরে ফের কারফিউর কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত বাহিনী।
শুক্রবার জাতিসংঘে দেওয়া বক্তব্যে কাশ্মীর ইস্যুতে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কার কথা জানান ইমরান খান। সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে সরব না হলে ‘খারাপ’ কিছুর জন্যও প্রস্তুত থাকতে হবে বলে বিশ্বকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ইমরান খান বলেন, ‘মনে করে নিচ্ছি, আমি কাশ্মীরের জেলে রয়েছি। শুনছি ভারতীয় সেনারা বাড়িতে হানা দিচ্ছে, ধর্ষণ করছে। আমি কি সেটা মানতে পারতাম? আমি বন্দুক তুলে নিতাম।’
শ্রীনগরের সিভিল লাইনস এলাকার বাসিন্দা তৌসিফ মাজেদ রাঠের ফোনে আনন্দবাজারকে বলেন, ‘ইমরানের বক্তৃতার পরেই শ্রীনগরের বিভিন্ন এলাকায় বাজি পোড়ানো শুরু হয়। ইমরান-পাকিস্তানের পক্ষে স্লোগান দেন অনেকে।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ বিক্ষোভকারী যুবকদের গ্রেপ্তার করতে গেলে তাদের আটকানোর জন্য রাস্তায় নামেন বাসিন্দাদের একাংশ। কোনো কোনো এলাকায় ঢুকতেই পারেনি পুলিশ।’
এরপর থেকেই ফের উপত্যকায় কড়া নিয়ন্ত্রণ ফিরেছে জানিয়ে তৌসিফ বলেন, ‘আজ শ্রীনগর শহরতলির দিকে দেখলাম, রাস্তায় কাঁটাতার আর প্রচুর জওয়ান।’
এরই মধ্যে শনিবার জম্মু এবং কাশ্মীরে স্বাধীনতাকামীদের হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। জম্মুর বাটোটে নিহত হয়েছেন এক সেনা ও তিন স্বাধীনতাকামী। অন্যদিকে কাশ্মীরে গান্ডেরবালের নারানাগ গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন আরও তিন স্বাধীনতাকামী।
গত ৫ আগস্ট কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন সংক্রান্ত বিশেষ মর্যাদা বাতিল এবং নিষেধাজ্ঞা জারির পরে এই প্রথম রাজ্যে এত বড় হামলার ঘটনা ঘটল।
এ ঘটনার পর শ্রীনগর বিমানবন্দর এবং বিভিন্ন থানায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। শহরের বিভিন্ন এলাকায় স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের হামলা ঠেকাতে তৈরি হচ্ছে বাড়তি বাংকার। জেলা পুলিশ দপ্তরের বাইরে রয়েছে নিরাপত্তার বাড়তি বেষ্টনী।