চীন-ভারত সীমান্তকে শান্তিপূর্ণ রাখতে চান চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ জন্য তারা নিজ নিজ দেশের সেনাবাহিনীকে সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন। এর ফলে দু’দেশের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি পাবে। নরেন্দ্র মোদির চীন সফর নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শনিবার একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তাতে বলা হয়েছে, ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষায় দু’পক্ষ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে। বিশেষ করে সীমান্তে শান্তি স্থাপন থাকবে তাদের অন্যতম লক্ষ্য।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় কেশব গোখলে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি জোর দিয়ে বলেছেন, তারা এ বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেবেন। শক্তিশালী যোগাযোগ স্থাপনে তারা সংশ্লিষ্ট দেশের সেনাবাহিনীকে কৌশলগত নির্দেশনা দেবেন। এর মধ্য দিয়ে গড়ে উঠবে আস্থা ও সমঝোতা। বিজয় কেশব গোখলে আরো বলেন, দু’নেতা স্বস্তিদায়ক অবস্থানে এসেছেন। আঞ্চলিক থেকে শুরু করে বৈশ্বিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে তারা কথা বলেছেন খোলামেলা। এক্ষেত্রে সন্ত্রাসের যে ঝুঁকি রয়েছে তা স্বীকার করে নেন দু’নেতাই। এ সময় তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান ব্যক্ত করেন। সন্ত্রাস মোকাবিলায় পারস্পরিক সহযোগিতার প্রতি প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেন। এ ছাড়া আলোচনা হয়েছে বৈশ্বিক উষ্ণতা সহ বিভিন্ন ইস্যু। অর্থনৈতিক বিষয়ে গোখলে বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং স্বীকার করে নিয়েছেন যে, উন্নয়নের জন্য চীন ও ভারত একে অন্যকে সহায়তা করতে পারে। এক্ষেত্রে অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি হতে পারে আলাদা। কিন্তু স্বার্থ হওয়া উচিত অভিন্ন। লক্ষ্য অর্জনের জন্য সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here