নাটোরের চলন বিলে ধানের বাম্পার ফলনের পরেও বৃষ্টির কারণে বিপাকে চাষীরা। ধান ক্ষেতে জমেছে হাঁটু পানি। পানিতে পড়ে গেছে অধিকাংশ ধান। বৈরী পরিবেশে ধান কাটতে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সঙ্কট, বেড়েছে শ্রমের মজুরি। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছেন সিংড়া উপজেলার চৌদ্দগ্রাম, তাজপুর, ইতালি ও ডাহিয়া ইউনিয়নের চাষিরা।

চাষীরা জানান, জমি শুকনো থাকলে ধান কাটতে সুবিধা হয়। আর জমি পানি থাকলে ধান কাটতে অসুবিধা হয়। এক মাজা পানিতে ধান কাটতে গেলে সেই ধানই খুঁজে পাই না। এই বছরে ৩০ বিঘা জমিতে আবাদ করেছি। সব খরচ বাদ দিয়ে দেখা আমাদের কিছুই থাকে না। এর ফলে আবাদ করে কী লাভ।

নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে কৃষকের দুর্ভোগ বেড়ে যাবে। আর যদি বৃষ্টি না হয়, ধানের ক্ষতি হবে না। তবে শ্রমিক সঙ্কট বাড়বে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ৩৮ হাজার ১শ’ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ ভাগ জমির ধান কাটা হয়েছে ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here