যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে বাংলাদেশি তরুণীকে শ্বেতাঙ্গ তরুণের এ্যাসিড নিক্ষেপ

0
544
যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম সিটির একক্স গ্রিন এলাকা  ফক্স হলিস রোডের নিজ বাড়ির লবিতে হাইড্রোলিক এসিড আক্রমণের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তরুণী আফিয়া বেগম (২৬)। পুলিশ এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সী এক শ্বেতাঙ্গ স্কুল ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে।
বার্মিংহাম লাইভের বরাতে জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল আফিয়া বেগম পার্শবর্তী পেট্রোল ষ্টেশন থেকে যখন নিজ এপার্টমেন্টের লবিতে পৌঁছান, তখন এক শ্বেতাঙ্গ কিশোর তার উপর এক বোতল হাইড্রোলিক এসিড ছুড়ে মারে। সাথে সাথে তার মুখ, ঘাড়, গলা সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পুড়ে যায়। চোখ মারাত্নক জখম হয়। আক্রমণকারী পালিয়ে যাওয়ার পর তার এক বন্ধু গাড়ি চালিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ সন্দেহজনক ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সী এক শ্বেতাঙ্গ কিশোরকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার বিবরণে অাফিয়া বেগম বলেন,” আমি যখন পেট্রোল ষ্টেশনে যাই তখন মনে হয় এই লোকটি আমাকে দেখছিল। যখন আমি রোড পার হয়ে বাসার দিকে যাচ্ছিলাম তখন দেখলাম একটি কালো গাড়ি থেকে একজন লোক বের হচ্ছে। কিন্তু আমি চিন্তা করিনি সে আমাকে আক্রমণ করবে। আমি যখন ফোনে কথা বলতে বলতে আমার এপার্টমেন্টের সামনে আসি তখন লোকটি এসে আমার ঘাড় এবং হাত ধরে। আমি চিৎকার দিয়ে উঠলে, সাথে সাথে আমার মোবাইল ফোনটি পড়ে যায়। তখনি সে আমার উপর এক বোতল এসিড ছুড়ে মারে। আমি যখন সাহায্যের জন্য চিৎকার করছিলাম তখন সে আমার ফোনটি কুড়িয়ে নিয়ে দৌড় দিয়ে চলে যায়।
আফিয়া যখন হাসপাতালের বিছানায় ব্যথায় কাতর তখন পুলিশ তদন্তের নামে তার সাথে দেখা না করে তার বাসায় যায়। কিন্তু ফেরার পথে বাসায় তালা না লাগিয়ে যাওয়ায় বাসার মুল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়ে যায়। ক্ষোভের সঙ্গে আফিয়া বলেন, ” এক সপ্তাহ পরে আমি যখন হসপিটাল থেকে বাসায় ফিরি, দেখি আমার বাসায় চুরি হয়েছে। পুলিশ যেখানে আমাকে দেখতে আসার কথা, আমার সাথে কথা বলার কথা, সেখানে উল্টো তারা আমার বাসায় গিয়ে তল্লাশি করে। যাওয়ার সময় বাসার দরজা খুলে রেখে যাওয়ায় আমার বাসা চুরি হয়। জুয়েলারি,টিভি, তিনটি ব্যাংক কার্ড সহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র খোয়া গেছে”।
ওয়েস্ট মিডলেন্ডস্ পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, ” এপ্রিলের ৮ তারিখে সংগঠিত এ্যাসিড এ্যটাকের তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতারও আহবান জানিয়েছেন তিনি”।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here