যশোর ও ময়মনসিংহে এক রাতেই বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন চারজন। গতকাল রাতে পৃথক সময়ে এসব ঘটনা ঘটে। যশোর থেকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার জানান, যশোরের অভয়নগরে র্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে ৩ জন নিহত হয়েছে। র্যাব দাবি করেছে নিহত ৩ জন খুলনার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত ৩ জনের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি র্যাব। র্যাব জানায়, গত রাত ৩ টার দিকে গোপন খবরে র্যাব -৬ এর একটি আভিযানিক দল জানাতে পারেন যে, যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাগদা বাজারে একটি সংঘবদ্ধ মাদক পাচারকারী চক্র জড়ো হয়ে মাদকের একটি বড় চালান পাচারের রুট নিয়ে শলাপরামর্শ করছে।
খবরের সূত্র ধরে র্যাবের ওই টিমটি ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা দ্রুত অবস্থান বদলে র্যাবের ওপর আক্রমন শুরু করে। এসময় মাদক বিক্রেতারা র্যাবকে লক্ষ্য করে কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে ও গুলি ছুড়লে র্যাবও পাল্টা আক্রমনে যায়। এভাবে বেশ কিছুক্ষন র্যাব ও মাদক বিক্রেতাদের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধ চলার পর ঘটনাস্থল থেকে রাত সাড়ে তিনটার দিকে র্যাব সদস্যরা তিন মাদক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এসময় র্যাব সদস্যরা ৪শ’ বোতল ফেনসিডিল, ২টি বিদেশী পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
এদিকে খবর পেয়ে ভোরে অভয়নগর থানা পুলিশ মৃতদেহ গুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি মিয়া বলেন, ঘটনার বিষয়ে তারা আগে থেকে কিছুই জানতেন না। ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্সসহ তিনি ঘটনাস্থলে যান। এসময় বিক্ষিপ্ত ভাবে পড়া থাকা ৩টি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তবে নিহতের নাম পরিচয় পুলিশও উদ্ধার করতে পারেনি। এদিকে স্থানীয়রা দাবি করেছে, রাতে যে সময়ের ঘটনা র্যাব বলছে সে সময় ওই এলাকায় এরকম বন্দুক যুদ্ধ বা গোলাগুলির কোন ঘটনা তাদের জানা নেই। ময়মনসিংহ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, নান্দাইলে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মো. ইমন (১৯) নামে একজন হত্যা মামলার আসামি নিহত হয়েছেন। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) জানায়, নিহত ইমন অটোরিকশা চালক রানা (১৫) হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, গত ১৭ মে নান্দাইল উপজেলার বড়াইল এলাকার অটোরিকশা চালক রানাকে (১৫) হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরদিন ১৮ মে এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয় এবং এ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. ইমনকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেপ্তার এ আসামিকে নিয়ে শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে নান্দাইল চৌরাস্তা এলাকায় পলাতক আসামি প্রান্তকে (২২) গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রান্ত ও তার সহযোগীরা আসামি ইমনকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও গুলি ছুড়ে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়তে থাকলে এক পর্যায়ে ইমন পুলিশকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যেতে চাইলে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।