রূপকথার রাজপুরীর মতই সাড়া জাগানো বিয়ে উৎসবের পর এবার নতুন জীবনে পা রেখেছেন ‘ডিউক অব সাসেক্স’ প্রিন্স হ্যারি এবং ‘ডাচেস অব সাসেক্স’ মেগান মার্কেল।
বিয়ের পর শনিবার সন্ধ্যায় ‘প্রিন্স অব ওয়েলস’ চার্লসের দেয়া বিবাহপরবর্তী সংবর্ধনায় অংশ দেন নবদম্পতি। রাতের উৎসব কাটিয়েছেন পরিবারের সদস্য এবং একান্তই কাছের বন্ধুদের সঙ্গে। এই সময় বিয়ের পোশাক পাল্টে সাদা রঙের কাঁধ খোলা সিল্কের গাউন পরেন মেগান। হাতে ছিল প্রিন্সেস ডায়নার হালকা নীলাভ আংটি। মারা যাওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে এটি আঙুলে জড়িয়েছিলেন ডায়না।
বিয়ে পরবর্তী সংবর্ধনায় দেয়া ভাষণে মেগানের কথা বলার সময় আনন্দঅশ্রুতে ভাসছিল হ্যারির চোখ। এই রাজপুত্র বলেন, ‘মেগান তার মাধুর্য দিয়ে সবকিছুকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে। আমরা দু’জনে মিলে একটি সেরা জুটি তৈরি করব। মেগানের দিকে তাকিয়ে বলেন, তোমার সঙ্গে আমার বাকি জীবন কাটানোর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। মেগানের বিয়ের পোশাক ডিজাইনারকেও ধন্যবাদ জানান হ্যারি। বলেন, ‘অসাধারণ লাগছিল তাকে।’
উইন্ডসর ক্যাসেলে রাত কাটানোর পর সোমবার রাণী এবং ডিউক অব এডিনবার্গের দেয়া সংবর্ধনায় অংশ নিবেন হ্যারি-মেগান। এরপর কেসিংটন প্যালেসের ‘নটিংহাম কটেজ’ এ নিজেদের নতুন সংসার গোছাবেন। মঙ্গলবার বাকিংহাম প্যালেসে নিজের প্রথম ‘রয়েল গার্ডেন পার্টি’তে অংশ নিবেন মেগান।
জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই মধুচন্দ্রিমায় যাচ্ছেন না হ্যারি-মেগান। তবে সম্ভাব্য স্থানের ক্ষেত্রে সবার আগে আছে বতসোয়ানার নাম। বন্যপ্রাণী, নজরকাড়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে সঙ্গে সঙ্গে পাপারাজ্জিদের এড়ানোর জন্য এটি একটি অসাধারণ স্থান হতে পারে। ২০১৭-তে মেগান দক্ষিণ আফ্রিকার এই দেশটিতেই তার ৩৬তম জন্মদিন পালন করেছিলেন। এছাড়া নবদম্পতির মধুচন্দ্রিমার তালিকায় আছে নামিবিয়া, নরওয়ে, ইতালি, সুইজারল্যান্ড ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপ নেভিস। তবে বিয়ের পর কিছুদিন অনানুষ্ঠানিক সফরে আয়ারল্যান্ডে দিন কাটাবেন এই দম্পতি।
টেলিগ্রাফ, ডেইলিমেইল।