ফরিদপুর জেলায় এবছর ৮২ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদের লক্ষ ধরা হলেও আবাদ হয়েছে ৮২ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে। পাট রোপণের পর অতি বৃষ্টির কারণে অনেক ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে নতুন করে পাট বুনতে পারেননি অনেকে।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, শিলা বৃষ্টি হওয়ার ফলে আমাদের ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এখন পানির যে অবস্থা পাট ঘরে তুলতে পারবো বলে মনে হয় না। শিলা বৃষ্টিতে যে ক্ষতি হচ্ছে এখন আমরা কিভাবে ফসলের ক্ষতি পুষাবো সেটাই এখন অনিশ্চিত।
দফায় দফায় শিলাবৃষ্টির কারণে বেশির ভাগ পাট ক্ষেতেই ডগা ভেঙে গেছে গাছের। ফলে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা পুরন হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা।
কৃষি বিভাগের হিসেবে শিলাবৃষ্টিতে কয়েকটি উপজেলায় ৬৫৫ হেক্টর জমির পাট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়ে হয়েছে।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রর্তী বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় পরিদর্শন করেছি, জনপ্রতিনিধি ও কৃষকদের সাথে কথা বলেছি। যে ফসল গুলো আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেগুলোর কিছুদিনের মধ্যেই ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায়। ফসল যাতে ভালোভাবে উৎপাদিত হয় সেই ব্যবস্থায় করা হবে।
দেশের মোট পাটের ৫ ভাগের ১ ভাগেই উৎপাদিত হয় ফরিদপুর জেলায়।