রাজনীতি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন এবার বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুকের সিইও হতে চাইছেন। তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রর ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্রেট দলীয় অ্যাটর্নি জেনারেল মাওরা হেলি সাবেক এই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি কোন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হতে চান? তার এই প্রশ্নের জবাব দিতে একটুও সময় নেননি হিলারি। সঙ্গে সঙ্গেই হিলারি জবাব দেন, ফেসবুক।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সি নেটের এক প্রতিবেদনে বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদসংস্থা আইএএনএস এ তথ্য জানিয়েছে। ক্লিনটন বলেছেন, ‘এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ সংবাদ প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুক থেকেই আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ সংবাদ পান। সেটা সত্য অথবা মিথ্যা হোক।’
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক এই প্রতিযোগী শুক্রবার সন্ধ্যায় হার্ভার্ডে র্যাডক্লিফ পদক পেয়েছেন। মানবাধিকার, দক্ষ রাজনীতিক এবং সমাজ বদলে অবদান রাখায় হিলারি ক্লিনটনকে সম্মানজনক এ পদক দেয়া হয়।
হিলারি বলেছেন, ‘বেশ কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটার পর ফেসবুক তাদের ব্যবসায়িক মডেলে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে। আমি আশা করছি, তাদের এই চেষ্টা সফল হবে। কারণ এটি আসলেই আমাদের গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে জনগণ সঠিক তথ্য পাওয়ার পর সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনের হেরে যাওয়ার পেছনে ফেসবুক দায়ী বলে তার সমর্থকরা মনে করেন। ওই সময় হিলারিকে নিয়ে ভুয়া সংবাদ এবং বিজ্ঞাপন প্রচারের অভিযোগ উঠে ফেসবুকের বিরুদ্ধে।
এছাড়া কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা বিতর্কের জেরে ফেসবুকের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিশ্বজুড়ে ৮৭ মিলিয়ন ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুক এখন ফের মানুষের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে হিলারির এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।