শুক্রবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনেস এলাকায় বিক্ষোভ চলার সময় আহত একজনকে চিকিৎসা দিতে নাজার ইসরায়েল সীমান্তের কাছে ছুটে যান। সেখানেই ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে তিনি নিহত হন। নাজার চিকিৎসকদের মতো সাদা পোশাক পরে ছিলেন। একইসঙ্গে সেখানে তিনি ইসরায়েলি সেনাদের উদ্দেশে দুহাত উপরে তুলে সংকেতও দিয়েছিলেন। তারপরও ইসরায়েলি সেনাসদ্যসরা নাজারের উপর গুলি চালায় বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদসংস্থা ওয়াফা।

ইসরায়েল এর আগে তারা দাবি করেছিল, তাদের স্নাইপাররা শুধু মাত্র সেইসব বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় যারা স্পষ্টতই হুমকির কারণ হয়ে উঠেছে। সেনাবাহিনী পাঁচটি স্থানে বিক্ষোভ ‘দমন’ করেছে দাবি করে শুক্রবারের ঘটনার বিষয়ে ইসরায়েল জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আরেকজন সন্দেহভাজন নিরাপত্তা বেষ্টনী পার করে একটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত করার চেষ্টা করছিল। সে গাজা অংশে ফিরে যাওয়ার পর গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হয়। তবে এতে ইসরায়েলের কেউ প্রাণ না হারালেও গাজা থেকে ওড়ানো ঘুড়ি দিয়ে ইসরায়েলে ‘বোমা’ নিক্ষেপের কারণে কৃষিক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

গাজার চিকিৎসকরা দাবি করেন, শুক্রবারের বিক্ষোভে অন্তত ১০০ জন ফিলিস্তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া গত ৩০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া ফিলিস্তিনি বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১১৯ জনে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here