তিনি বলেন, পুষ্টিগুনের পাশাপাশি ঔষধিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় বাড়ছে মসলা ফসলের চাহিদা। দৈনন্দিন জীবনে প্রধান ও অপ্রধান প্রতিটি মসলা কমবেশি ব্যবহার হয়ে থাকে এবং প্রায় প্রতিটি মসলা ফসলই অর্থকরি ফসল হিসেবে হিসাবে বিবেচনা যোগ্য। তাই মসলা ফসলের গবেষণা ও নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন সময়ের দাবি। মসলা গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে মসলা ফসলের উৎপাদন ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে ৫.০৬ লাখ হেক্টর জমি থেকে প্রায় ৩২.০৭ লাখ মেট্রিক টন প্রধান মসলা ফসল উৎপাদিত হচ্ছে। যার ২৫ থেকে ৩০ ভাগ সংগ্রহ পরবর্তী অপচয়ের পর ২৫.৭১ লাখ মেট্রিক টন ব্যবহার উপযোগী থাকে। এবং অভ্যন্তরিন চাহিদা আরও প্রায় ৬ লাখ ৭১ হাজার মেট্রিক. টন। বাংলাদেশে প্রায় ৪৩টি মসলা ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে প্রায় ৩৫টি মসলা এদেশে কমবেশি চাষ হয়ে থাকে। বাকীগুলো আমদানিতেই মেটে। দৈহিক প্রয়োজন মিটানোর জন্য মাথাপিছু মসলার চাহিদা ৫৪ গ্রাম। যেখানে মাত্র ৩৮ গ্রাম মসলা গ্রহণ করা হয়। এ পর্যন্ত বিভিন্ন মসলা ফসলের ৩২টি জাত উদ্ভাবিত ও মুক্তায়িত হয়েছে। এলাচের কোনো জাত উদ্ভাবন করা যায়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here