বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ফিলিস্তিন, ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সুদৃঢ় অবস্থান নিয়ে বিশ্ব শান্তির পক্ষে বিদেশ নীতি গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা নিয়ে যে সংকট হচ্ছে তার মধ্যেও আমাদের দেশের জাতীয় নিরাপত্তার সংকট দেখা দিতে পারে। সুতরাং সবকিছু বিবেচনা করে সরকারের সুদৃঢ় বিদেশ নীতি গ্রহণ করা দরকার।
রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, ফিলিস্তিন-ইরান ও সিরিয়ায় যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা কেবল ওই দেশগুলোর সমস্যা নয়। এটা বিশ্বব্যাপী সমস্যা। মার্কিন সামরাজ্যবাদ তাদের অস্ত্র ব্যবসার জন্য সারা বিশ্বের শান্তি বিনাস ঘটিয়েছে, আরও ঘটাবে। সারা দুনিয়ায় যুদ্ধাস্ত্র বিক্রি করে তাদের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে আমেরিকা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। এটাই তাদের বাঁচার পথ। পুঁজিবাদী সংকট মোকাবেলা করতেই তাদের দেশে দেশে এই যুদ্ধ।
সভায় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ইউ রামাদান বলেন, এটা দুঃখজনক যে, আরব বিশ্বে আজ অনৈক্য। অনেক আরব রাষ্ট্রই আমেরিকাকে সমর্থন করছে। মনে রাখবেন ফিলিস্তিন হঠাৎ করে তৈরি হয়নি। এর দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সেই ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর আমেরিকার মদদে ইসরাইল সৈন্য বাহিনী বর্বর নির্যাতন করছে। আমরা আশা করছি আপনাদের এবং বিশ্ববাসীর সমর্থনে ফিলিস্তিনের জনগণ বিজয়ী হবে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রবীন অধ্যাপক ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ড. কেএএম সাদ উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট বিভাগের অধ্যাপক তৌহিদুর ইসলাম, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী ড. আবুল কাসেম। সভাপরিচালনা করেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা এনামুল হক এমরান।