আনুষ্ঠানিকভাবে নারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া শুরু করেছে সৌদি আরব। সোমবার দেশটির ট্রাফিক অধিদপ্তর ১০ জন নারীকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করেন। এছাড়া, আগামী ২৪ জুন দেশটিতে মেয়েদের গাড়ি চালনার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার কথা রয়েছে। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান দেশে ব্যাপক সংস্কার অভিযান চালাচ্ছেন। নারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান তার এই সংস্কার কার্যক্রমেরই অংশ।
এর আগে সরকারিভাবে সৌদি নারীদের কোন লাইসেন্স দেয়া হতো না। তারা বিভিন্ন দেশ থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করতেন। সেগুলো স্বল্প পরিসরে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতেন। সোমবার সৌদি আরবের ট্রাফিক অধিদপ্তর এসব বিদেশী লাইসেন্সের পরিবর্তে সরকারিভাবে নতুন লাইসেন্স প্রদান করে। সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে প্রচার করা হয়, দেশজুড়ে বিভিন্ন পয়েন্টে বিদেশী লাইসেন্স জমা দিয়ে নারীরা সরকারি লাইসেন্স গ্রহণ করতে পারবেন। তথ্য মন্ত্রণালয় বলছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে ২ হাজার নারীকে লাইসেন্স সরবরাহ করা হবে।
সৌদি আরবে দীর্ঘদিন ধরে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে মোহাম্মদ বিন সালমান ক্রাউন প্রিন্সের দায়িত্ব নেয়ার পর দৃশ্যপট পাল্টে যেতে পারে। এখন রিয়াদে পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুকরণে কনসার্টের আয়োজন করা হয়। বিনোদনের জন্য সেখানে সিনেমা হল চালু করা হয়েছে। নারীদের ওপর বৈষম্যমূলক বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স। তিনি সৌদি নারীদের স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার নিয়ম চালু করেছেন। নারীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান মোহাম্মদ বিন সালমানের সংস্কার কার্যক্রমে নতুন সংযোজন। এর আগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ ঘোষণা দেন, ইসলামী বিধান অনুযায়ী সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়া হবে। তবে ধারণা করা হয়, এ ঘোষণা দেয়ার জন্য ক্রাউন প্রিন্স সৌদি বাদশাহকে প্রভাবিত করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here