বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মণীষা কৈরালা। দীর্ঘ বিরতির পর সঞ্জয় দত্তের বায়োপিক নিয়ে নির্মিত ‘সঞ্জু’ ছবি দিয়ে ফের বড় পর্দায় ফিরছেন তিনি। এই সিনেমায় সঞ্জয়ের মা নার্গিস দত্তের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে তাকে। জনপ্রিয় এই নায়িকা বাস্তব জীবনে একা।
২০১০ সালে নেপালী এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছিলেন মণীষা কৈরালা। বিয়ের দু’বছর পার না হতেই অর্থাৎ ২০১২ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ওই বছরই মারণঘাতি ক্যানসার ধরা পড়ে মণীষার। দীর্ঘদি চিকিৎসার পর এখন পুরোপুরি সেরে উঠেছেন তিনি।

বর্তমানে অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অভিনেত্রী। ক্যানসারের মতো মারণঘাতি রোগের সঙ্গে লড়াই নিয়ে মণীষা বলেন, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় যন্ত্রণায় কুঁকড়ে যেতাম, অনেক কান্নাকাটি করতাম। তখন আমার পরিবার, বিশেষ করে মা প্রতি পদক্ষেপে আমাকে সাহায্য করেছেন।

তিনি আরো বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে যখন চিকিৎসার জন্য ছিলাম, তখন নিজের চোখে দেখেছি সকলে কত একলা! সে সময়টিতে হতাশ হয়ে বসে থাকত। আর মনে মনে ঠিক করেছিলাম, নিজেকে এভাবে শেষ করব না। যদি মরতেই হয়, সাহসের সঙ্গে লড়াই করেই মরবো। আমি কখনো হাল ছাড়িনি। তাই হয়তো শেষ পর্যন্ত আমি এ লড়াইয়ে জিততে পেরেছি।

ডিভোর্সের পরে কখনো কি তিক্ততা গ্রাস করেছে এমন প্রশ্নে মণীষা বলেন, ‘একা থাকাটাকে উপভোগ করছি। জীবনের এই পর্যায়ে এসে একটা জিনিস উপলব্ধি করেছি, কাজ মানুষকে সব সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারে। তাই পর পর সিনেমা করছি। আমি এই মুহূর্তে জীবনকে দারুণ ভাবে উপভোগ করছি। আমার কোনো তিক্ততা নেই। যারা আমাকে পায়নি, সেটা তাদের অপ্রাপ্তি। আমার প্রথম ভালবাসা আমার কাজ। শেষ ভালবাসা কিনা, তা অবশ্য বলতে পারব না।’

‘সঞ্জু’ ছবিতে নার্গিস দত্তের চরিত্রে কাজ করা প্রসঙ্গে মণীষা কৈরালা বলেন, এই চরিত্রটার প্রস্তাব পেয়ে খুবই খুশি হয়েছিলাম। তবে পরের মুহূর্তেই উপলব্ধি করি, কাজটা কত কঠিন! নার্গিস জির হাঁটাচলা, চাহনি, হাসি পর্দায় ফুটিয়ে তোলা বেশ কঠিন ছিল। নার্গিসজির কিছু ছবি এবং তৈরি হওয়া তথ্যচিত্র দেখেছি। প্রিয়াজির (সঞ্জয়ের বোন) সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভাল। যখন উনি শুনেছিলেন, আমি এই চরিত্রটা করছি, অনেক উৎসাহ দিয়েছিলেন আমাকে। উনি নার্গিসজিকে নিয়ে একটা বই লিখেছিলেন। সেটা আমাকে পড়তে দিয়েছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here