মুসলিম রীতিতে কোন দম্পতির মধ্যে তালাক কার্যকর হওয়ার পর পুনরায় তাদের বিবাহ করার অনুমতি শর্তসাপেক্ষ। এক্ষেত্রে বির্তকিত হিল্লা বিয়ে রীতি অনুসারে, স্ত্রীকে অন্য একজনকে বিয়ে করে তার সঙ্গে দাম্পত্য অতিবাহিত করার পর তাকে তালাক দিয়ে অথবা তার মৃত্যু হওয়ার পর আবার পুনরায় আগের স্বামীর কাছে ফিরে আসতে হয়। মুসলিম ধর্মীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের দ্বারা অনুমোদিত এই বিয়েরীতিকে প্রত্যাখ্যান করেন নারী অধিকার কর্মীরা। তারা এটিকে নারীবিদ্বেষী দাবি করে সুপ্রিমকোর্টে তা বন্ধ করার জন্য পিটিশন দায়ের করেন। পিটিশনের বিষয়বস্তুতে সম্মতি জানিয়ে সুপ্রিমকোর্ট কেন্দ্র এবং আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে নোটিশ পাঠায়। সেই সঙ্গে, পাশাপাশি, বহুবিবাহ ও হিল্লা বিয়ে নিয়ে দেশটির মুসলিম শরিয়াহ আইনের বিধানে কী বলা আছে, তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সরকার ও আইন মন্ত্রণালয়কে।

এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ভারতীয় মুসলিম মহিলা আন্দোলন-বিএমএমএ সহ বিভিন্ন সংগঠন। বিএমএমএ এর জাকিয়া সোমান বলেন, আমরা কোরান এবং সাংবিধানিক নীতি অনুসারে একটি সুষ্ঠু আইন চাই। আমরা চাই, হিল্লা এবং বহুবিবাহকে অপরাধ বলে গণ্য করা হোক। আমরা বিশ্বাস করি বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোরআন বহুবিবাহের অনুমোদন দেয় না।’ এর আগে, ২০১৭-র আগস্টে ‘তিন তালাক’কে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে শাস্তির বিধান জারি করেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here