একইসাথে, এবছরের শেষে একটি অভিবাসন আইন অনুমোদনেরও অঙ্গীকার করা হয়। জার্মানির ঐতিহাসিক রিচস্ট্যাগ ভবনে অনুষ্ঠিত এক স্বল্পমেয়াদি বৈঠকের পর দুই পৃষ্ঠার চুক্তিতে সম্মত হন জোটনেতারা।

এর আগে, রোববার মেরকেলের বিরুদ্ধে অভিবাসন পরিস্থিতি সামলাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ এনে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও নিজদলের প্রধান দু’টি পদ থেকেই বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন হোর্সট সিহোফার। তিনি মেরকেলের দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন অব জার্মানি-সিডিইউ’র শরিক ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়ন-সিএসইউ দলের প্রভাবশালী নেতা।

পরবর্তীতে, সোমবার মেরকেলের সঙ্গে ৫ ঘণ্টার দীর্ঘ আলোচনার মধ্যদিয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন সিহোফার।

ইইউ’র প্রচলিত আইনের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ভুক্ত অন্যান্য দেশগুলোতে নিবন্ধন করা আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া ৪৮ ঘণ্টায় ত্বরান্বিত করা এবং তাদেরকে পূর্বের নিবন্ধিত দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে সম্মতি জানায় জোটটি। সেখানে আলাদা কোনও ট্রানজিট কেন্দ্রও না থাকার বিষয়ে মত দিয়েছেন জোটনেতারা।

মতৈক্যে পৌঁছানোর পর সিহোফার বলেন, ‘অত্যন্ত দারুণ একটি চুক্তি হয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও সীমিত করা।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here