যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত, চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান এবং বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডেন্ট ড. এ কে আবদুল মোমেন ‘ইউরিনাল স্টোন’ অপসারণের প্রাথমিক অস্ত্রোপচার শেষে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। ‘ইউরিনাল স্টোন’ অপসারণের জন্যে গত ৬ সেপ্টেম্বর নিউজার্সির হ্যাকেনসেক হাসপাতালে ভর্তি হন ড. মোমেন। ভর্তির পরই সেই স্টোন অপসারণের প্রাথমিক একটি অস্ত্রোপচার করা হয়। ৭২ বছরের জীবনে এই প্রথম হাসপাতালে রাত কাটানো ড. মোমেনকে শনিবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি তার এক নিকটাত্মীয়ের বাসায় পূর্ণ বিশ্রামে রয়েছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার পরিপূর্ণ লেজার অস্ত্রোপচার করা হবে। সে সময়েই সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তার স্টোনটি গুড়িয়ে শরীর থেকে ফেলে দেয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে এটি হচ্ছে অনতম সেরা একটি হাসপাতাল।
ড. মোমেন জানান, কানাডার টরন্টোতে গত ১ ও ২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ব সিলেট সম্মেলন’-এ অংশগ্রহণের সময়েই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। টরন্টোর একটি হাসপাতালে দিনভর পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর সামান্য সুস্থ হয়েই নিউইয়র্কে ফিরেন। এখানকার খ্যাতনামা ইউরোলজিস্ট ড. মোতাহার আহমেদের পরামর্শে ‘ইউরিনাল স্টোন’ অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন। ড. মোমেন উল্লেখ করেন, তার চিকিৎসা টিমে ড. মোতাহার ছাড়াও আরো দুই বাংলাদেশী চিকিৎসক রয়েছেন। তারা হলেন ড. সোহেল আহমেদ এবং ওমর হাসান।
ড. মোমেন বলেন, ৮ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে ডিনার পার্টি ছিল। সেটি বাতিল করা হয়েছে। ঢাকায় ফেরার সময়ও পিছিয়ে নেয়া হয়েছে।
ড. মোমেন বলেন, আমার বয়স এখন ৭২ বছর। এর মধ্যে ৩৬ বছরের মত যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম। সৌদি আরবেও ছিলাম বেশ কিছু সময়। জীবনে কখনোই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি। ঘনঘন চিকিৎিসকের কাছেও যাইনি। এটিই প্রথম ঘটনা হাসপাতালে রাত কাটানোর।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ফিরেই সিলেটে গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে হবে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচন করার ইচ্ছা। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তাই ফেরার আগেই সবকিছু চেকআপ করার একটি সুযোগ পেয়ে পরম করুণাময়ের শোকরানা আদায় করছি’। ড. এ কে এ মোমেন তার দ্রুত আরোগ্য কামনায় প্রবাসীদের দোয়া চেয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here