উল্লেখ্য, ফৌজিয়া বিবি পাকিস্তানের খাইবার পখতুনখাওয়া প্রদেশে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) দলের সাবেক একজন সদস্য।
তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ আনার কারণে ইমরান খানের বিরুদ্ধে ৫০০০০ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করে মানহানি মামলা করেছেন তিনি। তার আইনজীবী সৈয়দ গুফরানুল্লাহ শাহ বলেছেন, এর আগে তিনবার সমন পাঠানো হয়েছে ইমরান খানকে। কিন্তু তিনি আদালতে উপস্থিত হন নি। তাই আদালতের উচিত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে সমন পাঠিয়ে দেয়া। পাকিস্তানের ক্ষতিপূরণ বিষয়ক অধ্যাদেশ ডিফেমেশন অর্ডিন্যান্স-২০০২ এর অধীনে এ বছরের জুনে এই মামলা করা হয়েছে। এতে আসামী শুধু একজনই। তিনি হলেন তখনকার পিটিআই প্রধান ইমরান খান।
পরে ২৫ শে জুলাই জাতীয় নির্বাচনের পর তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ফৌজিয়া তার মামলায় বলেছেন, ৩রা মার্চে সিনেট নির্বাচনের সময় তিনি সাধারণ, নারী ও টেকনোক্র্যাটদের জন্য সংরক্ষিত আসনে দলীয় সব প্রার্থীকে ভোট দেয়ার জন্য পিটিআইয়ের নির্দশনা অনুসরণ করে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু সিনেট নির্বাচনের পর ইমরান খান বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা, যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্নভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, অপ্রমাণিত মৌখিক বক্তব্য প্রচার করতে থাকেন তার বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ইমরান খান সব সময়ই আমার বিরুদ্ধে বানোয়াট বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, আমি অর্থের বিনিময়ে ভোট বিক্রি করেছি। তিনি ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট এবং সামাজিক নেটওয়ার্কে এমন সব বক্তব্য দিতে থাকেন। তা সব মাধ্যমে প্রচারিত হয়। ফৌজিয়ার আইনজীবি বলেন, তার বিরুদ্ধে এমন মানহানিকর বক্তব্য প্রচারের খবর পাওয়ার পর ফৌজিতা তার অবস্থান পরিষ্কার করেন। তিনি পবিত্র কুরআন ছুয়ে শপথ নেন। অভিযোগ অস্বীকার করেন। বিবাদির পক্ষে পিটিআইয়ের সেক্রেটারিয়েট থেকে ফৌজিয়াকে একটি শোকজ নোটিশ দেয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তিনি এর জবাব দেন।
ফৌজিয়া বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে উন্মুক্ত তদন্তের অনুরোধ করেছেন। কিন্তু বিবাদি ইমরান খান তদন্তের পর ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেন নি। তার মানহানিকর বক্তব্যের কারণে আমরর রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক জীবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।