নির্বাচনী জোটের স্বার্থে নিজের দূর্গে কাউকে কোন ছাড় দিতে রাজি নন, জাতীয় পর্টির চেয়ারম্যান এরশাদ। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকার দৃঢ় অবস্থান স্পষ্ট করলেও আসন ভাগাভাগিতে রংপুরের ছয়টির ব্যাপারে অনমনীয় এরশাদ। অন্যদিকে সরকারি দলের স্হানীয় নেতা কর্মীরা এবার ৬টি আসনেই নৌকার প্রার্থী চান।
আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা শূন্য, বড় একটা শূন্য। আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা শূন্যে নেমেছে বলে দেয়া বক্তব্য থেকে ইউটার্ণ নিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে পুরো উল্টো কথা তাঁর।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, ‘রাজনীতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখনের যে অবস্থা তাতে আমার মনে হয় আমি যদি সরকারের সঙ্গে থাকি জোটে। তাহলে আমাদের কেউ পরাজিত করতে পারবে না।’

টানা দুই মেয়াদে সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের ফলে এ অঞ্চলের মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে প্রতিদান দিতে চায় উল্লেখ করে এরশাদের আসনটিসহ ছয়টির সব ক’টিতেই নৌকার প্রার্থী চান স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী দিলে জয়লাভ করবে রংপুরে।’

রংপুর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান রনি বলেন, ‘আগের চেয়ে এত বেশি উন্নয়ন হচ্ছে এর জন্যই মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দেবে।’

কিন্তু জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে যে তালিকা দিয়েছেন তা থেকে ৩০টি ছেড়ে দিতে রাজি থাকলেও বৃহত্তর রংপুরের ২২টিতে ছাড় দেবেন না বলে আসছেন শুরু থেকেই। এখনো সে অবস্হানে অনড় এরশাদ।

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ‘আমরা আসন ছাড়তে রাজি নই। লিস্ট দিয়েছি ১০০ টা ৭০-৮০ টা নিশ্চয় পাবো।’

গত নির্বাচনে জেলার ছয়টি আসনের চারটি চলে যায় আওয়ামী লীগের দখলে, যার একটিতে জয়ী হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরবর্তী উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করে জয়ী হয়ে ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী হন স্পিকার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here