বাংলা খবর ডেস্ক:
দক্ষিণ এশিয়া থেকে বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন দেশই প্রাথমিক বাছাইপর্ব উৎরাতে পারেনি। আগামী বছরের ফ্রেবুয়ারিতে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। খেলাটির ভেন্যু এখনো ঠিক হয়নি। তবে বাংলাদেশ এরই মধ্যে বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে চলে গেছে। ঘরের মাঠে ‘এফ’ গ্রুপের সব দলকে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
গত মাসে থিম্পুতে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশের মেয়েরা ভারতের কাছে ১-০ গোলে হারে। সেই হারের ধকল সামলে উঠতে ঘরের মাঠে সংযুক্ত আরব আমিরাত, লেবানন, বাহরাইন এবং ভিতেনমানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচকে মাছের চোখ করেছিল বাংলাদেশ। তাতে আঁখি-মারিয়ারা চার ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ২৭ গোল দিয়ে গ্রুপ সেরা হয়েছে। জিতেছে সেই চ্যালেঞ্জ।
তবে ভারত, শ্রীলংকা, পাকিস্তান এবং নেপাল গ্রুপ পর্বে কাটা পড়েছে। ভারত ‘বি’ গ্রুপে রানার্সআপ হয়েছে। রানার্সআপ হয়েও দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু ছয় গ্রুপের মধ্যে দ্বিতীয় সেরা রানার্সআপ হতে হতো। ভারত তা পারেনি। তাদের গ্রুপে ছিল লাওস, হংকং, মঙ্গোলিয়া ও পাকিস্তান।
এছাড়া গ্রুপ ‘এ’ এর আয়োজক ছিল শ্রীলংকা। তাদের গ্রুপে ছিল চীন, জর্ডান, উজবেকিস্তান ও গুয়াম। কিন্তু তারাও বাছাইপর্ব পেরোতে পারেনি। বাংলাদেশ-শ্রীলংকার মতো গ্রুপ ‘ই’র আয়োজক ছিল নেপাল। তাঁদের সঙ্গে ছিল মিয়ানমার, ফিলিপাইন ও মালয়েশিয়া। ঘরের মাঠে নেপালও ব্যর্থ হয়েছে।
এর আগে ২০১৬ সালেও বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে চূড়ান্তপর্বে খেলেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। কিন্তু এবার বাছাইপর্ব পেরোলে মূল আসরে খেলা হচ্ছে না। বাছাইপর্বে গতবারের চেয়ে এবার দল বেড়েছে। তাই ছয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন এবং দুটি রানার্সআপ নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড বলে আরেকটি ধাপ রাখা হয়েছে।