‘ছেলেরা শিখল’
পাকিস্তানের বিপক্ষে গত বুধবারই দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ৩৭ রানে হারিয়েছে পাকিস্তানকে। বাংলাদেশের করা ২৩৯ রানের জবাবে প্রতিপক্ষের ইনিংস থেমে যায় ২০২ রানে।
ওই ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন করলে মাশরাফি বলেন, ‘ফিল্ডিংয়ে বডি ল্যাংগুয়েজ যদি দেখেন আমি মনে করি ওখানেই ম্যাচটা ঘুরে গেছে।বোলাররা ইনসপায়ারড হয়েছে। ওখানেই সব কিছু চেঞ্জ হয়েছে। একটা বোলার যে দৌড়ে এসে ফাইট করবে সেটা না । অল অ্যাবাউট টিম। একটা বোলার বল করল, ফিল্ডাররা ফিল্ডিং করে সেটা আটকে দিল তখন কিন্তু বোলার চাঙ্গা হতে থাকে। এটা ছেলেরা শিখল।’
ফাইনালে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান নেই। এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘সেরা দুজনকে ছাড়া এ পর্যন্ত আসা আমি মনে করি বড় অর্জন। ছেলেরা গর্ববোধ করতে পারে। তবে আমি এখনো মনে করি এখনো একটা ম্যাচ আছে তারা তাদের বেস্টটা দিতে পারলে একটা ভালো ম্যাচ হবে।’
‘কালকেও এমন কাউকে দেখতে পারেন…’
ওপেনিং নিয়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে। এ ব্যাপারে মাশরাফি বলেন, ‘আমরা নিজেরাও সারপ্রাইজড হয়েছি, আপনাদেরও সারপ্রাইজ করেছি। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন খেলোয়াড়.. যাই হোক পরিস্থিতির শিকার হয়ে এটা হয়েছে। কালকেও এমন কাউকে দেখতে পারেন যে কখনো ওপেনিং করেইনি। এমনো হতে পারে। সবকিছুর জন্য আমরা প্রস্তুত আছি, আপনাদেরও প্রস্তুত থাকতে বললাম আর কি।’
ফাইনাল নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘টপ অর্ডার আমরা যেভাবে খেলেছি এতে কোনো রান সেটআপ করা কঠিন। টপ অর্ডার যদি সেট হয়ে যায়, কিছুক্ষণ খেলতে পারে তখন কিন্তু তারাই মেসেজ দিতে পারে যে উইকেটটা কেমন। মুশফিক ও মিথুন যখন ব্যাটিং করছিল তখন তারা আমাদের খবর পাঠিয়েছে অন্তত ২৬০ হলে ভালো, আমরা ওদিকে যাব নাকি। তখন কিন্তু আলোচনা হয়, যে নর্মাল ব্যাটিং কর তোমরা দেখা যাবে শেষে। আমরা কিন্তু সে সুযোগটা খুব কম পেয়েছি এই টুর্নামেন্টে। বিশেষ করে পাঁচ-ছয় ওভারে দুটি উইকেট পড়ে গেছে। সেটআপ করা কঠিন ছিল আমাদের।’
‘ভালো স্টার্টটা খুব জরুরি’
ভারতের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘ভারতের যে ব্যাটিং শক্তি, ২৬০-২৭০ হলে ফাইট করার মতো রান হবে। জেতার স্কোর আমি বলছি না, ২৬০-২৭০ হলে ফাইট করার সুযোগ থাকবে। আর যদি আগে বোলিং করি সেক্ষেত্রে আসলে চাইব যত কম হোক। বিশেষ করে ট্প অর্ডার নিয়ে আমরা কনফিউজড। আসলে ভালো স্টার্টটা খুব জরুরি, বোলিং করি আর ব্যাটিং করি। ভালো স্টার্ট হলে নিজেদের ব্রেনটাও খুলবে, বোঝা যাবে কোন পর্যন্ত গেলে সুবিধা হবে।’
এবং সাকিব
ঘুরে ফিরে এলো সাকিব প্রসঙ্গ। যখন বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে খেলছিল তখনই সাকিব রওনা দেন ঢাকার উদ্দেশে। আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাচের পরই জানা যায়, চোটের কারণে সাকিবের এই এশিয়া কাপ খেলা আর হচ্ছে না।
ভারতের সঙ্গে সাকিব নেই। স্পিনার কি আরেকজন দলে ঢুকবে কি না জানতে চাইলে মাশরাফি বলেন, ‘সাকিব থাকলে তো চিন্তার কোনো বিষয়ই ছিল না। কিন্তু সাকিব নেই, এটা চিন্তার বিষয়। আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে কী করা যায়।’
মাশরাফি সাংবাদিকদের জানান, পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে ফোন দেন। মাশরাফি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী খুব খুশি হয়েছেন। তিনি সামনে আরো ভালো করার জন্য চেষ্টা করতে বলেছেন।