কেউ তাঁকে বাদ দেননি, বরং তিনি নিজেই শাহরুখের হয়ে গাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন বলে দাবি অভিজিতের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে জানান, ’সামান্য একটা কারণেই শাহরুখের জন্য গাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। ‘ম্যায় হু না’ ছবির শেষ দৃশ্যে স্পট বয় থেকে শুরু করে ছবির সঙ্গে যুক্ত সকলকেই দেখানো হয়েছিল। বাদ গিয়েছিলেন শুধু গায়করা। ‘ওম শান্তি ওম’-এও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। সবাই ধুম তানা গানটা গাইছিল, যা কিনা আমার গলায়। কিন্তু কোথাও তা উল্লেখ পর্যন্ত করা হয়নি। ওই ঘটনায় আমার আত্মসম্মানে আঘাত লেগেছিল। কিন্তু যেচে আমার নাম যোগ করতে বলতে যাব কেন? আমার মধ্যে তো কোনও খামতি নেই। তা হলে আমি ওদের সামনে হাত পাতববো কেন?’
এই মুহূর্তে নিজেকে বলিউডের অংশ বলে মানতেও নারাজ অভিজিৎ। তার কথায়, ‘এর চেয়ে নিজেকে সঙ্গীত জগতের অংশ বলতে ঢের ভাল লাগে।’
বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় আসা এটিই প্রথম নয় অভিজিতের।। বেলাগাম মন্তব্য করে এর আগেও একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন অভিজিৎ। ২০১৬ সালে পাকিস্তানি অভিনেতাদের ভারতে কাজ করা নিয়ে আপত্তি তোলে কিছু রাজনৈতিক দল। তার জেরে বিপাকে পড়েন পরিচালক করণ জোহর। কারণ ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিতে দুই পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খান এবং ইমরান আব্বাসকে নিয়ে কাজ করেছিলেন তিনি। সেই সময় গোটা বলিউড তাঁর পাশে দাড়ালেও, বিপক্ষে কথা বলেন অভিজিৎ। সোশ্যাল মিডিয়ায় করণ জোহরকে সমকামি বলে উল্লেখ করে বিদ্রুপ করেন। শাহরুখ, সালমন এবং আমিরকে নির্লজ্জ, পাকিস্তানি দালাল বলেও মন্তব্য করেন সে সময়।