তাঁর লেখার যখন অন্ধ পাঠক

0
460

শহিদুল আজম:
তাঁর লেখার যখন অন্ধ পাঠক, তখন কল্পনাও করতে পারিনি কোনদিন তাঁর স্নেহধন্য হতে পারবো। অথবা, একদিন লেখালেখিই হয়ে যাবে আমার জীবন ধারনেরও একমাত্র উপায়। সেই কিশোর বাংলা থেকে শুরু। আমার প্রিয় লেখক ইমদাদুল হক মিলন হঠাতই একদিন হয়ে গেলেন আমার প্রিয় বড় ভাই। কি বিটিভির স্টুডিও, গেন্ডারিয়ার বাসা, কিংবা হোটেল হোয়াইট হাউস; তার সেসময়ের লেখালেখির গোপন জায়গা – বাদ যায়নি কোনকিছুই। মিলন ভাই আছেন জানলেই বিশ্বাস আর সাহস নিয়ে হাজির হয়ে যেতাম যেকোন প্রয়োজনে। ভীষন ব্যস্ততায়ও কোনদিনই রাগ করেননি। তাড়িয়েও দেননি। বরং উৎসাহিত করেছেন সব সময়। যেমনটি করলেন শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর নৈশভোজ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও। অনেকদিন পর উপহার পেলাম তাঁর একগাল হাসি আর হাতে মমতার স্পর্শ। অভিমান করেই বললাম, ছোট ভাইয়ের খোঁজ তো আজকাল নেননা। আমাকে অবাক করে দিতেই বললেন, কেমন আছি, তা তিনি জানেন। খোঁজখবরও রাখেন। তাঁর মতো বিশাল ব্যক্তিত্বের কাছে আমার মতো নগন্য মানুষের এর চেয়ে বেশি আর কিইবা চাইবার থাকে? কাজেই আনন্দের একটা ক্লিক। এই ছবিটা না হয় জমা থাকুক ফেসবুকে। আমি মরে গেলে এই ছবিটি দেখে দু’কলম লেখার ইচ্ছেও তো হতে পারে। ওপার থেকে দেখার কোন সুযোগ থাকলে, নিশ্চয় তখন গর্ব হবে বেশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here