সাগরিকার জল-হাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধে হয়নি বাংলাদেশের। সাকিব-তামিমকে ছাড়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত করতেও তেমনি বেগ পোহাতে হয়নি। টাইগাররা ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে। এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেছে সিরিজ।
পুরনো দিনে এই জিম্বাবুয়ে চ্যালেঞ্জ জানাতো টাইগারদের। চট্টগ্রাম যেমন পুরনো দিনের চট্টলা নামে আর ফিরে যাবে না। তেমনি বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে হয়তো সেই সময় আর ফিরে পাবে না। প্রথম ম্যাচে সহজ জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। বুঝিয়ে দিয়েছে, জিম্বাবুয়ের সেই দিন একেবারেই গেছে।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া ২৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই টাইগার ওপেনার লিটন দাস এবং ইমরুল কায়েস। উদ্বোধনী জুটিতে ১৪৮ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন তারা। ওপেনিংয়ে এটি টাইগারদের পঞ্চম সর্বোচ্চ জুটি। ম্যাচে শুধু বাংলাদেশের আফসোস সেঞ্চুরির পথে থাকা লিটন দাস এবং ইমরুল কায়েস সেঞ্চুরি হাতছাড়া করে ফিরেছেন। তবে তাদের দেওয়া রানের ভিত্তিতে ৩৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে মাশরাফিবাহিনী।

দলের হয়ে ১১১ বলে ৯০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ইমরুল কায়েস। এছাড়া লিটন দাস খেলেন ৭৭ বলে ৮৩ রানের দারুণ এক ইনিংস। তার ইনিংসটি ১২ চার ও এক ছয়ে সাজানো। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজে অভিষেক হওয়া ফজলে রাব্বি দ্বিতীয় ম্যাচেও শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন। তাতে অবশ্য জয় পেতে কোন ঝামেলা-ঝক্কি পোহাতে হয়নি দলের। শেষটায় মুশফিকুর রহিম হার না মানা ৪০ ও মোহাম্মদ মিঠুন অপরাজিত ২৪ রান করলে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় টাইগাররা।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান তোলে সফরকারীরা। দলের হয়ে ব্রেন্ডন টেইলর ৭৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। এছাড়া সিকান্দার রাজা ৪৯ এবং শেন উইলিয়ামস করেন ৪৪ রান।

বাংলাদেশের হয়ে এ ম্যাচে ৪৫ রানে ৩ উইকেট নেন পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন। এছাড়া মাশরাফি, মুস্তাফিজ, মিরাজ ও মাহমুদুল্লাহ একটি করে উইকেট পান। বল হাতে দারুণ করায় ম্যাচ সেরা হন সাইফউদ্দিন। সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি আগামী ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। ওই ম্যাচের জন্য দলে ডাকা হয়েছে সৌম্য সরকারকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here