আইনজীবী সাইফুল মালুক রয়টার্সকে বার্তা সেবামাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে বলেছেন, নিরাপত্তাহীনতার কথা চিন্তা করেই তাঁকে দেশত্যাগ করতে হয়েছে। নিকটজনদের পরামর্শেই তিনি দেশত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি কোন দেশে গিয়েছেন, তা জানানো হয়নি।
মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে অবমাননাকর তিনটি মন্তব্যের অভিযোগে ২০১০ সালে আছিয়া বিবিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন লাহোরের আদালত।
রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করা হলে আট বছর ধরে চলা এই মামলায় গত বুধবার আছিয়াকে বেকসুর খালাস দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ।
রায় ঘোষণার পর পরই দেশজুড়ে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়। টানা তিন দিনের বিক্ষোভে কার্যত পাকিস্তান অচল হয়ে পড়ে। বিক্ষোভ দমনে শুক্রবার দেশের প্রধান শহরগুলোতে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও বন্ধ করে দেয় সরকার।
পরে শুক্রবার দিনই তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাতে তাদের সঙ্গে সরকারের আছিয়া বিবিকে দেশত্যাগের সুযোগ দেওয়া হবে না মর্মে সমঝোতা হয়।
আছিয়ার স্বামীর আশ্রয়া প্রার্থনা
নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন আছিয়া বিবির স্বামী আশিক মসিহ। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানে তাঁরা ভয়াবহ নিরাপত্তাহীনতার মুখে পড়েছেন।
ভিডিও বার্তায় মসিহ পরিবারের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি, আমাদের সাহায্য করুন এবং আমাদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করুন।’ তিনি কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃবৃন্দের প্রতিও এমন আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে আছিয়া বিবিকে আশ্রয় প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি দেশ। যদিও পাকিস্তান সরকার আছিয়া বিবিকে দেশত্যাগের সুযোগ দেবে না বলে বিক্ষোভকারীদের সংগঠন টিএলপির নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছে।