আগামী ২৪ শে ফেব্রুয়ারি থাইল্যান্ডে জাতীয় নির্বাচন। এর আগে প্রচারণার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু সরকার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। বলেছে, এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবে। তারা এক্ষেত্রে মুক্ত এখন। প্রায় চার বছর আগে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী। প্রধানমন্ত্রী হন সেনাপ্রধান প্রায়ুত চান-ওচা। তারা সব সময়ই বলে এসেছেন, তারা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবেন।

কিন্তু নির্বাচনের তারিখ বার বার পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। তারা ২০১৪ সালে ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে সরিয়ে দিয়ে পরে একটি নতুন সংবিধান তৈরি করে। তাতে নির্বাচনী ব্যবস্থা পাল্টে দেয়া হয়। ওই সংশোধিত ও নতুন সংবিধান ২০১৭ সালের গণভোটে অনুমোদন করানো হয়। নতুন এই সংবিধানের সেনাবাহিনীকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, নির্বাচনের পরেও সেনাবাহিনী দেশের রাজনীতিতে থাকবে প্রভাবশালী একটি শক্তি হয়ে। তারা সিনেটরদের নিয়োগ দিতে পারবে। এর ফলে যেসব সিনেটর আসবেন পার্লামেন্টে তারাই নির্বাচন করবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী।
সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মকান্ড ও  এক স্থানে ৫ জনের বেশি মানুষের একত্রিত হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এ অবস্থা তুলে নিয়ে মঙ্গলবার ঘোষণা দেয়া হয় যে, নিজেদের নীতিকে তুলে ধরতে রাজনৈতিক দলগুলো প্রচারণা চালাতে পারবে, যাতে ক্ষমতাসীন সরকার আইন সংশোধন বা বাতিল করতে পারে। উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি ঘটার পর রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের দীর্ঘ ইতিহাস আছে। তারা ১২ বার ক্ষমতা দখল করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here