সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, সবদল জোটে অংশগ্রহণ করে নির্বাচন করছে, সেই অর্থে এবারের নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা হচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করলেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয় না, যদি নাগরিক বা ভোটারদের অংশগ্রহণ না থাকে। শনিবার চ্যানেল আই তৃতীয় মাত্রায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে অস্বস্তিকর ও ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে যদি ভোটার ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত না হতে পারেন, তাহলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলো না। সাধারণত আমাদের দেশে জাতীয় নির্বাচনে ৯০% পর্যন্ত ভোটার ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়। ধর্মীয় কিংবা জাতিগত বিশেষ সম্প্রদায় সংখ্যালঘুদেরকে নিরুৎসাহিত করছে আর হুমকি দিচ্ছে। বলা হচ্ছে, তোমাদের ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে না, আমরা তোমাদের ভোট পেয়ে গেছি। এরকম হলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের সম্ভাবনা থাকে না।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে হবে, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলকও হতে হবে। আমাদের দেশে যতবারই দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে ততবারই যারা ক্ষমতায় ছিলো পুনরায় তারাই ক্ষমতায় এসেছে। এর কারণ হলো প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করেই ক্ষমতায় আসা সম্ভব হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন না হলে সেটা কখনও সম্ভব হয়নি। দুর্ভ্যগ্যবশত প্রশাসনে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে এবার চরম দলীয়করণ হয়েছে। বর্তমান যে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তার কারণ ওটাই।

বদিউল আলম বলেন, বিরোধীদলের বহু প্রার্থী এলাকা ছাড়া হয়ে গেছেন। অবস্থা এমন হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। নির্বাচন কমিশনের দায়বদ্ধতা কিন্তু কোনো দলের কাছে নয়, দায়বদ্ধতা এদেশের জনগণের কাছে। সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হলেই নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্বপালন হবে। যদি ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন হবে না।

তিনি বলেন, অসম পরিস্থিতি দূর করতে নির্বাচন কমিশনকে সত্যিকার রেফারির ভূমিকায় থাকতে হবে। তাহলেই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here